নবদম্পতিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল ওরা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
দুই দিনের ছুটি পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। সেই হল কাল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাটের গণহত্যা লীলার বলি হলেন নবদম্পতি। রাতে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল দুজনের। ঘটনার তীব্র শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।
জানা যায়, দু'দিনের ছুটিতে স্ত্রী লিলি খাতুনকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন পেশায় মাদ্রাসা কর্মরত সাজিদুর রহমান পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের নানুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। কিন্তু এই ঘুরতে আসাই ডেকে আনল চরম পরিণতি।
পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাতে নাকি বগটুই গ্রাম থেকে ফোন করে সাহায্য চেয়ে ছিলেন সাজিদুর। কাউকে ফোন করে তাঁকে বলতে শোনা যায়,ভাই আমাকে বাঁচা। এই গ্রামে একটা মার্ডার হয়ে গেছে। এখানের অবস্থা খুব খারাপ। কীভাবে এখান থেকে বের হব? কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি তাঁদের দু'জনকেই। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার।
মৃত সাজিদুরের মা নুরুনেহার বিবির অভিযোগ, আমার ছেলে কোনও দোষ করেনি। ওরা আমার ছেলেকে আর বাকিদের একটা ঘরে বন্ধ করে মেরেছে। আমি শাস্তি চাই। আমি ফাঁসি চাই।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন, দুপুরে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। কিন্তু তারপরই এই নরকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনাটি ঘটে। ছেলে বৌমার মৃতদেহ যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করাকে কেন্দ্র করে এই রণক্ষেত্র। রামপুরহাটের ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে শিশু ও মহিলাসহ ১০ জনকে খুন করেছে দুস্কৃতিরা। কার্যত জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের।
স্বভাবতই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে তৎপর শাসকদল। বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল ঘটনার পিছনে খাড়া করেছেন টিভি তত্ত্ব। তাঁর দাবি টিভি ফেটেই আগুন লাগে বাড়ি গুলিতে।
উল্লেখ্য, ঘটনার রেশ পৌঁছেছে দিল্লি অবধি। পুরো ঘটনার বিষয়টি জানার পর কেন্দ্রীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহ। কড়া পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছেন রাজ্যপালও।
এসএ/