চুয়াডাঙ্গায় মুন্সিপুর সীমান্তে সোনার বারসহ পাচারকারী আটক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩১ অপরাহ্ন, ৫ই জুন ২০২৪
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ৬ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ ভরি ওজনের দুটি সোনার বারসহ পাচারকারী অটো চালক কাওসার আলীকে (৪০) অটোসহ আটক করতে সক্ষম হয়ছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুতুবপুর পাঁকা রাস্তায় চোরাচালান বিরোধী এ অভিযান চালায় ৬ বিজিবির মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান (পিএসসি) বুধবার বিকেলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, অদ্য ৫ জুন বুধবার সকাল ১০ টার দিকে চোরাকারবারী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার অন্তর্গত মুন্সিপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার কুতুবপুর গ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে গোপন সূত্রে সংবাদ পাই।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার নামে স্ত্রীর সম্ভ্রমহানি, প্রতিশোধ নিতে কবিরাজকে হত্যা
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ ও মুন্সিপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত মেইন পিলার ৯৩/৩-আর হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুতুবপুর পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে অপেক্ষা করে।
এমন সময় একটি অটোরিক্সা এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে আটক করে বিজিবি। এসময় অটোরিক্সা চালক উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কাওছার আলী পালানোর চেষ্টা করলে টহলদল তাকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে কোমরে রাখা ১৯ দশমিক ৮৯ ভরি (২৩২ গ্রাম) ওজনের ২ টি সোনার বার উদ্ধার করেন।
বিজিবি সশস্ত্র টহল দল আটককৃত অটোরিক্সা চালক মো. কাওছার (৪০), পিতা. মৃত আব্দুল কুদ্দুস, গ্রাম. মুন্সিপুর, পোষ্ট- কুতুবপুর, থানা- দামুড়হুদা, জেলা- চুয়াডাঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার শরীরে পরিহিত লুঙ্গির ভাজে কোমরের সাথে কালো স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ২৩২ গ্রাম (১৯.৮৯ ভরি) ওজনের ২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত
এ ব্যাপারে হাবিলদার মুন্সি মুজিবর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করে আটককৃত আসামীকে দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর পূর্বক জব্দকৃত সোনার বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমএল/