হজের সময় রাজনৈতিক স্লোগান নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৪
হজের সময় কোনো ধরনের রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক আর রবিয়াহ। পবিত্র নগরী মক্কায় ইতোমধ্যে হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশটিতে ১২ লাখ মুসল্লি পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংবাদকর্মীরা রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগানের বিষয়ে জানতে চান দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাওফিক আল রাহবিয়া’র কাছে। জবাবে তিনি জানান, হজ হলো একটি ইবাদাত, এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগানের স্থান নয়। তিনি বলেন, যদি কেউ রাজনৈতিক স্লোগান দেন তাহলে অতীতে ন্যায় তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: হজের নতুন আইন অমান্য করলেই শাস্তি
হজ ইসলামের পঞ্চমতম বিধান। আর্থিক সামর্থবান ও শারীরিকভাবে সুস্থ্য প্রত্যেক নারী ও পুরুষের ওপর হজ পালন করা ফরজ। এসব ব্যক্তির জীবনে একবার হজ পালনের বিধান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট জানায় ১৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র কুরবানি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সৌদি আরবে এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি। কারণ, দেশটিতে বিক্ষোভ করা অপরাধ। এ ছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতাও এখানে খর্ব করে রাখা হয়েছে। ফলে হজকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পালে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে সৌদি সরকারের নিযুক্ত ইমামরা প্রতি শুক্রবার গাজাবাসীদের জন্য দোয়া করছেন। কিন্তু পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা থাকলেও হজ মৌসুমে যারা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সৌদি আরব একে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ বাহরাইন এবং আরব আমিরাত সম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এদিকে গত ৭ অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ হামলার পর থেকেই সৌদি ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। সূত্র: মিডল ইস্ট আই
জেবি/আজুবা