এবার হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু শুক্রবার

এবার সৌদিতে এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে। চলতি বছর পুরো বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করবেন। আর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

শুক্রবার মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। তাই হাজিরা সেখানে অবস্থান করবেন। এরপর আরাফার ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৮ জুন) শেষ হবে ৫ দিনের হজের কার্যক্রম।

আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি সৌদির

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করবেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা করবেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।

পরে ৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসাবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।

আরও পড়ুন: সৌদিতে পৌঁছেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন হজযাত্রী

হাজিরা ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে ফের মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন ৩টি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসাথে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।

জেবি/এসবি