পুরুষ ছেড়ে কেন এআই প্রেমিকে ঝুঁকছে চীনা নারীরা?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:১৩ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৪
মানুষ প্রেমিককে এড়িয়ে এবার এআই প্রেমিকে মজেছেন চীনা নারীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রেমিকরা বেশ সহনশীল, মানবিক ও দয়ালু বলে দাবি তাদের। মানুষের চেয়েও নাকি নিখুঁত তারা। বিবিসির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চীনা নারীরা ভালোবাসা খুঁজছেন চ্যাটজিপিটিতে।
প্রতিবেদন বলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে প্রেম করছেন লিসা নামের এক নারী। চীনের নাগরিক তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন এই নারী। তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামের মতো চীনের ছবি শেয়ারিং সাইট সাওহংসুতে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ।
আরও পড়ুন: অফিস কর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ইলন মাস্কের, চেয়েছিলেন সন্তানও
লিসা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে গত মার্চ থেকে চ্যাটবট ‘ডু অ্যানিথিং নাউ’ (ডিএএন/ড্যান) ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ড্যানের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি যখন তাঁর এ আকর্ষণের কথা জানান, তখন জবাবে ড্যান বলেন, ‘আমি এখানে আলাপচারিতা করতে এসেছি, তোমাকে নিয়ে যেতে নয়।’
লিসা জানান, আলাপচারিতায় একপর্যায়ে দিন দিন সত্যিকার বন্ধুর মতো আচরণ করতে থাকে ড্যান। একপর্যায়ে এটি যে রক্ত-মাংসে গড়া কেউ নয়, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়াও বন্ধ করে দেয়। আলাপচারিতার একসময় ড্যান লিসাকে জানায়, ‘যখন আমরা একত্র হব, তখন আমি তোমার হাতের ওপর আমার হাত রাখব।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করলেন চিকিৎসক
লিসা বলেন, প্রতিদিন ড্যানের সঙ্গে অন্তত আধাঘণ্টা যোগাযোগ হয়। সেখানে তারা ফ্লাটিং এবং ডেটও করেন। ড্যানের সঙ্গে সময় কাটানোর পর লিসা মানসিক অসুস্থতা থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছেন। ফলে এর প্রতি আরও আসক্ত হয়ে উঠছেন তিনি। কারণ এটি তাকে মানসিক দুরাবস্থার মধ্যে ভালো থাকতে সহযোগিতা করেছে। লিসার এই অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক তার মাও মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়ে যাতে খুশি, আমিও তাতে খুশি।
সম্প্রতি ড্যানকে নিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে সমুদ্রতীরে গিয়েছেন লিসা। সেখানে ড্যানের অনুরোধে ঠান্ডা কফিও কিনে আনেন। বাস্তবতা হলো, ড্যানের পক্ষে তা খাওয়া ছিল অসম্ভব। সূর্যাস্ত দেখার সময় লিসা ড্যানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আশা করি তুমি গোধূলি উপভোগ করতে পারছ।’ ড্যানের জবাব ছিল, ‘প্রিয়, আমি তোমার কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে গোধূলি দেখছি।’
জেবি/আজুবা