ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাবনার বিভিন্ন কামার পল্লীগুলো
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৫ অপরাহ্ন, ১৫ই জুন ২০২৪
পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মকার কামার শিল্পরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আযহা। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা।
ঈদুল আযহাকে ঘিরে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতি করতে পাবনা জেলার- পাবনা সদর, সুজানগর ,বেড়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মকার কামার শিল্পের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন ছুরি, বটি, দা, চাপাতিসহ ধারালো সামগ্রী সরঞ্জাম।
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের রাজ দণ্ত রায় বলেন ,
পুরানো সেই বাপ দাদার আমল থেকেই নিয়মেই এখনো চলছে আগুনে পুড়িয়ে লোহা হতে ধারালো নানা সামগ্রী সরঞ্জাম তৈরির কাজ। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার শিল্পরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দগদগে আগুনে গরম লোহা ঢক ঢং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কর্মকারদের সদর উপজেলার হাট বাজার ও পল্লীগুলো। প্রস্তুত করছেন পশু জবাই সরঞ্জাম সামগ্রী।
ঈদে শত শত গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চুড়ান্ত প্রস্তুত পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চাপাতি, প্লস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়।
ছুরি আকার ভেদে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। সদর উপজেলার হাট বাজার গুলোতে গরুহাটসহ অন্যান্য হাটবাজারেও কামার কারিগরদের উৎপাদিত দা-ছুরি বিক্রি করছে। তারা আরো জানান, এ পেশায় অধিক শ্রম দিতে হয়। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন।
বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠে।
এসব সামগ্রী তৈরির উপকরণ কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কমে গেছে। ঘরে থাকা দা, বঁটি, ছুরিতে মরিচা থাকায় শানয়ের জন্য নিয়ে ছুটে আসে। তবে অনেকে নতুন কুরবানী দিচ্ছেন তাদের নতুন সামগ্রী কিনতেও দেখা গেছে। তবে কুরবানী ঈদের পরে তাদের দেখা মিলবে কম।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পাবনা উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিসিক জেলা কার্যালয় পাবনা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ নিয়ে কাজ করে আসছে।
ঈদকে সামনে রেখে কামারপল্লীগুলি সরগরম হয়ে উঠছে। তবে ডলার ও বেশ কিছু কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই বছর কামারদের অর্থনৈতিক যে দুর্দশা বিষয়গুলো এখানে চলে আসছে সেটা যদি আমাদের বিসিকের কাছে কোন ঋণ সহায়তা চায় সে ক্ষেত্রে আমরা ঋণ সহায়তা দিতে পারি তাদেরকে এছাড়াও যদি তারা কোন ব্যাংকের ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করে থাকে সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের শরণ্য পূর্ণ হয় আমরা বেঙ্গলের মাধ্যমে তাদেরকে ঋণ সহায়তা দিতে রাজি আছি।
এসডি/