নাফনদী দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারিদের ফিরেয়ে দেয়া হচ্ছে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:২৪ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৪
মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এতোদিন অস্ত্রসহ পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দিলেও এখন তার দিচ্ছি না।
রবিবার (১৪ জুলাই) একদিনে পৃথকভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারি ৪টি ট্রলার বোঝাই ৭০ জন বিজিপি সদস্যকে ফিরিয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
এর মধ্যে রবিবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী জলসীমা দিয়ে ২টি ট্রলারে করে বিজিপির অন্তত ৩০ জন্য সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নাফ নদীতে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্য ট্রলার ২টিকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষে অস্ত্র সহ আটক আরসা কমান্ডার, আহত এপিবিএন সদস্য
প্রত্যক্ষদর্শী শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের লোকজন জানিয়েছেন, কোস্টগার্ড সদস্য অনুপ্রবেশকারি ২টি ট্রলারকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারি বিজিপি সদস্য নাফনদী হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
অপরদিকে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের জালিয়াপাড়াস্থ ট্রানজিট ঘাট সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা হয়ে ২টি ট্রলার যোগে আরও ৪০ জন বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদেরকেও ফিরে যেতে বাধ্য করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সীমান্ত নিকটবর্তী লোকজনের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাফ নদীর মাঝামাঝি ট্রলারে অবস্থান করে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কোস্টগার্ডের পক্ষে থেকে ফিরে যেতে আহ্বান করা হচ্ছে। যদিও ওইসময় নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি নন বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দায়িত্বশীলরা।
আরও পড়ুন: নাফনদীর ওপারে টানা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ আর আগুনের কুণ্ডলী
তবে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষে কিছু না জানালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন কিছু সংখ্যক বিজিপি সদস্য অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করার বিষয়টি জেনেছেন।
এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) সীমান্ত দিয়ে ২৮ জন বিজিপি সদস্য এবং গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে দেড় শতাধিক বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসলে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেয়। তাদেরকে দমদমিয়া বিজিবির ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় রাখা হয়েছে। যদিও হেফাজতের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
এমএল/