কক্সবাজারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে বিজিবি-পুলিশ-র্যাব

যদিও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে এদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
বিজ্ঞাপন
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবির টহল দল। একই সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ছিল কোটা আন্দোলনকারিদের একটি দল। যদিও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে এদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সকালে ঈদগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া সকালে চট্টগ্রামে নিহত কক্সবাজারের পেকুয়ার শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরামের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। পুরো জেলার পরিস্থিতি এখন শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল দিচ্ছে বিজিবি। পুলিশের টহল ও নজরধারী বাড়ানো হয়েছে। মাঠে রয়েছে র্যাবও।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। একই সময়ে কক্সবাজার শহর, রামু ও পেকুয়াতে র্যাবের ৫ টহল দল দায়িত্ব পালন করছে।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা পুরো শহরে টহল দিচ্ছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছে তারা।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হক বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কক্সবাজার শহরে ২টি, পেকুয়াতে ৩টি ও রামুতে ২টি টহল দল দায়িত্বপালন করছে। তবে রামুর ফুটবল চত্ত্বরে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঈদগাঁওতে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে তাদেরকেও বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কক্সবাজারে কোটা আন্দোলনের পক্ষে মিছিল সহকারে গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির কার্যালয়সহ একটি মসজিদ, কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ি ভাংচুর চালানো হয়েছে। এসময় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজীবকে। মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ লিংক রোড, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, শহরের লালদিঘীর পাড়া, ঝাউতলা এলাকায় এসব ঘটনা সংঘটিত করেছে কোটা আন্দোলনের পক্ষে মিছিল সহকারে ঘুরে বেড়ানো কয়েক শত শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে শহীদ সরণীস্থ কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়েছে। এ সময় পাশ্ববর্তী কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালানো হয়েছে। হঠাৎ করে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের সাথে জড়িত শতাধিক লোক এসে বিএনপি কার্যালয়ের জানালার কাঁচ ভাংচুর করে অভিযোগ করে বিএনপি নেতারা।
তবে এসব ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রাকিবুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








