চুয়াডাঙ্গায় কিশোর ভ্যানচালককে হত্যার দায়ে আসামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৪
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের পাখিভ্যান চালক কিশোর রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামী সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী। একইসাথে ওই আসামীকে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জীবননগরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিলো মাদক ব্যবসায়ী রাজন
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয় আসামী সোহাগ আহম্মেদ। এসময় প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে যেয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করে সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভিতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যায় সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় এবং পাখিভ্যানটি নিতে আর আসে না। পরে থানা পুলিশ সোহাগকে আটক করে।
গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামী সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলার আসামী সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত ১
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, অপরাধের ধরনে আসামীর ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
এমএল/