যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ব্লিঙ্কেনকে ২২ সিনেটরের চিঠি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:০০ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি লিখেছেন দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উভয় কক্ষের ২২ জন আইনপ্রনেতা। চিঠিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসার আহ্বান প্রত্যাখান করল আন্দোলনকারীরা
চিঠিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, “বাংলাদেশ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চলতি বছরের ৭ জানুয়ারিতে গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রম নীতিমালার উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়া, অতি সম্প্রতি বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া উল্লেখযোগ্য।”
সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা বলছেন, “এই উদ্বেগজনক ও অব্যাহত প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি আছে, সেসব গণতান্ত্রিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে আপনি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে নেতৃত্ব দেবেন।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো সমালোচনামূলক নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশি জনগণের বিরুদ্ধে উপরিউক্ত অপব্যবহারের জন্য জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদার হয়ে বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারকে সমর্থন করতে হবে। সেই সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করবে।”
বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা চিঠিতে বলেছেন, “আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ মুক্ত হলেও এখনো অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকার বিরোধী সমালোচকরা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।”
চিঠিতে বাংলাদেশে শ্রম আইন ব্যবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হওয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ সালের বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান- র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
চিঠিতে যে সব মার্কিন সিনেটর স্বাক্ষর করেছেন যারা- অ্যাডওয়ার্ড জে. মার্কি, ক্রিস ভ্যান হোলান, টাম্মি বাল্ডিন, জেফরি এ মার্কলি, ক্রিস্টোফার এস মারফি, টিম কাইন, রিচার্ড জে ডারবিন।
এছাড়া মেম্বার অব কনগ্রেসম্যানদের মধ্যে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন জেমস পি. ম্যাক গভার্ন, উইলিয়াম আর কিয়েটিং, গ্রেস মেঞ্জ, সেথ মল্টান, লরি ট্রাহান, জো উইলসন, জেমস সি. মোলান, ডিনা টিটাস, জিরাল্ড ই কনলি, গাবে আমো, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমর, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ, ডেনিয়েল টি কিলডি ও বারবারা লি।
জেবি/এসবি