সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে
বিজ্ঞাপন
হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মধ্যরাত থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের পর স্যাটেলাইট চ্যানেলটি আর সম্প্রচার হতে দেখা যায়নি। তবে টেলিভিশনটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল সচল রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিন ইকোর্ট সাত দিনের জন্য সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
সময় মিডিয়া লিমিটেড এবং এর পরিচালক শম্পা রহমানের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। এদিন সকালে রিট আবেদনটি করা হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম ও অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ। সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়।
সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গেল ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে রিট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। যার শুনানি আগামী ২২ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে।
গেল ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








