ঢাকা কলেজে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ প্রধান সমন্বয়ক নাজমুলের বিরুদ্ধে
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, ২৯শে আগস্ট ২০২৪
আল জুবায়ের: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়ক ঢাকা কলেজ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে । এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গেস্ট-গণরুম মুক্ত হল চায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
জানা যায়, গত ২৫ আগষ্ট ঢাকা কলেজ ম্যাথ অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৪-২০২৫ সেশনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অনুমোদনপত্রে প্রধান পৃষ্ঠপোষক গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অখিল চন্দ্র বিশ্বাসের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসানের স্বাক্ষর রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নীতি বর্হিভূতভাবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা নাজমুল হাসান ম্যাথ অ্যাসোসিয়েশনের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনে স্বাক্ষর করেছে। হল পরিচালনা কমিটিতে উপযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে একচ্ছত্রভাবে প্রভাব খাটিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সংসদ, ডিসি ইনসাইডারসহ ঢাকা কলেজের বিভিন্ন ফেসবুক পেজে কমিটির প্রেসনোট প্রকাশিত হলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানায় শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান তিহান বলেন, সম্বন্বয়ক পদ নিয়ে দেখি এখন ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের মতো ক্যাম্পাসে একচেটিয়া রাজত্বের কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে।
আরেক শিক্ষার্থী রাব্বি হাসান বলেন, ভিপি নুরের ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতি করেন তিনি। পরবর্তীতে আপডেট যেই কেন্দ্রীয় কমিটির গঠন করেছে তার মধ্যে আছে হয়তো। বাট তার এখানে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিচয়ের থেকে গণিত বিভাগের পরিচয় ব্যবহারটা বেশি যৌক্তিক ছিল।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী তৌয়্যেব জানান,
ম্যাথ এসোসিয়েশন একটা ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন সেখানে ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র হিসেবে যে-কেউ কমিটিতে থাকতে পারে সেখানে সমন্বয়ক ব্যবহার করার কোন যৌক্তিকতা নাই। এই সমন্বয়ক ব্যবহার করে নতুন বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, আমার কমিটিতে সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে থাকার কথা ছিলো। সেখানে অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা সম্বন্বয়ক শব্দ ব্যবহার করেছে। এবিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত বলতে পারবে। আর হলের সিট দেওয়ার বিষয়ে আমার কোন প্রভাব নেই। এটা আমি আজ প্রথম শুনলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
এ প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজ গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অখিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নাজমুল মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। সে বাইরে কি করে আমি জানি না। তবে আমার সাথে সে কোন রাজনৈতিক প্রভাব খাটায় না। আমার বিভাগে মিলেমিশে সবাই থাকে। আমার এই অরাজনৈতিক সংগঠনে এসে যদি কেউ পলিটিক্স করে তাহলে আমি তাকে বের করে দিবো। এখানে আসলে সাধারণ ছাত্র হিসেবে থাকতে হবে। হলে সিটের বিষয়ে তার (নাজমুল) কোন প্রভাব নেই বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, নাজমুল হাসান ঢাকা গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়ক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসডি/