পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে যা বললেন টাইগার অধিনায়ক
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:২৩ অপরাহ্ন, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৪
টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশ বরাবরই বিবর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম টেস্টেই ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার পাকিস্তানের মাটিতে দেশের ক্রিকেটের স্মরণীয় দিনটাও এলো শান্তর নেতৃত্বেই। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত দুই টেস্টের সিরিজে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে টিমস টাইগার্স।
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে অধিনায়কের চোখ পরবর্তী টেস্ট সিরিজে। সেই সঙ্গে সাকিব-মিরাজদেরও ক্রেডিট দিলেন, 'পরবর্তী সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই জয় আমাদের প্রচুর পরিমাণে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। মুশফিক ও সাকিবের কাছে প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে এবং সেটা ভারত সিরিজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এমন কন্ডিশনে মিরাজ যেভাবে বল করে ৫ উইকেট নিল তা খুবই অসাধারণ। আশা করি ভারতের বিপক্ষেও সে একই ধরণের কাজ করবে।'
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশ’, শান্তকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন
পেসারদের প্রশংসায় ক্যাপ্টেন বলেন, 'এই জয়ের মানেটা বিশাল। এর অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি সত্যিই খুশি। আমরা এখানে জয়ের খোঁজে ছিলাম এবং যেভাবে সবাই নিজেদের কাজ করল তাতে খুবই খুশি আমি। আমাদের পেসারদের বোলিং নীতি খুবই অসাধারণ ছিল এবং এই কারণেই আমরা এই ফলাফল পেয়েছি। সবাই নিজেদের প্রতি সৎ থেকেছে এবং তারা ম্যাচটা জিততে চেয়েছে। আমি আশা করি, এটা এই ধারা অব্যহত থাকবে। সাদমান প্রথম টেস্টে যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা দুর্দান্ত। এমনকি জাকিরও ইতিবাচকতা নিয়ে ব্যাট করেছে এবং আমাদের মোমেন্টাম এনে দিয়েছে। '
'সবাই এই জয়ে অবদান রেখেছে, বিশেষ করে একাদশে না থাকা সেই চার খেলোয়াড় যারা সুযোগ পায়নি। ফিল্ডিংয়ে দলকে খুবই দারুণ সহায়তা করেছে তারা। আশা করি, এই সংস্কৃতিটা আমাদের বজায় থাকবে। '
২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দল যখন খাদের কিনারে, সেখান থেকে দেড়শোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস। মিরাজ তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে না পারলেও শতকের দেখা পান লিটন। তার অবিশ্বাস্য ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, 'কেবল নিজের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। বাংলাদেশ দলের জন্য এই জয় বড় অর্জন এবং দলের অংশ হয়ে আমি সত্যিই অনেক খুশি। জুটির কৃতিত্ব অবশ্যই মিরাজকে দিতে হবে। আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে আমি রান করতে পারছিলাম না, সে আমাকে বলল কিছু বাউন্ডারি আদায় করে তাদের মোমেন্টাম সরিয়ে নেই এবং লাঞ্চ বিরতির পর তা আরও সহজ হয়ে যাবে। এটা দলীয় খেলা। এখানে ভালোভাবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করা দরকার। প্রথম ইনিংসের প্রথমার্ধ বাদে দলের সবাই ভালো খেলেছে।'
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
পুরো সিরিজে ১২টি ডিসমিসাল নিয়ে লিটন বলেন, 'আমি টেস্টে কিপিং করতে বেশ পছন্দ করি, এটাই আমার দায়িত্ব এবং যখন উইকেটের পেছনে ভালো করি তখন দলও ভালো করে। আমরা যখন এখানে আসি, তখন দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু আমরা এখানে কঠোর পরিশ্রম করেছি। কোচিং স্টাফসহ সবাইকে এর কৃতিত্ব দিতে হবে। এমন গরমে খেলাটা মোটেও সহজ নয়।'
এমএল/