জাবিতে প্রশাসনিক পদ শূণ্য থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪২ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সকল প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ পদত্যাগ করায় প্রশাসনশূণ্য অবস্থা বিরাজ করছে। ফলশ্রুতিতে নিরাপত্তাহীনতা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে জাবি শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট নিযুক্ত হলেন জাবি অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম
এর আগে ৭ই আগস্ট ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন উপাচার্য প্রফেসর মো. নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসান। ১১ই আগস্ট পদত্যাগ করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ। ১৯শে আগষ্ট দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তার প্রক্টরিয়াল বডিসহ ৫ই আগষ্ট পদত্যাগ করেন এবং এখন পর্যন্ত প্রায় দশটি হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছে ফলশ্রুতিত শূন্যতায় রয়েছে জাবির সকল প্রশাসনিক পদ এবং স্থবির হয়ে আছে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাকারী পদগুলো শূন্য থাকায় প্রশাসনিক, একাডেমিক জটিলতা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন প্রদান-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন না থাকায় সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারছেন না অনেক শিক্ষার্থীরা, একাডেমিক ফলাফল আটকে আছে বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের। ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী, যারা এখনো সনদ উত্তোলন করেননি। স্বাক্ষর ও অনুমোদন হচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। প্রশাসনিক ও একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
অন্যদিকে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। ছিনতাইকারী, বহিরাগতদের দ্বারা ছাত্রী হেনস্তা, মাদক সরবারাহের পরিমান বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রক্টর না থাকায় সেদিন একটা মেয়ের গায়ে একটা ছেলে হাত দিয়ে চলে যায় কিন্তু আমরা এখনো তার সুষ্ঠু বিচার পাইনি। মির মশাররফ হোসেন হলের পাশে প্রতিনিয়ত ছিনতাই হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছি সন্ধ্যা হলে রাস্তায় বের হতে পারি না। আমাদের এখন প্রশাসন খুবই প্রয়োজন নাহলে ক্যাম্পাসে একটা অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আলী হাসান মর্তুজা বলেন, আমাদের শিক্ষক পরিক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত উঠিয়েছেন। আজকে প্রশাসন উপস্থিত না থাকায় আমরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে কোনো আবেদন করতে পারছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া খুবই প্রয়োজন এই প্রত্যাশা রেখে জাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল হাসান বাপ্পি বলেন, আমাদের এখন একটাই চাওয়া যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে।
এসডি/