কলেরায় এক বছরে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ

অথচ এই রোগটি নিরাময়যোগ্য এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।”
বিজ্ঞাপন
বিগত ২০২৩ সালে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় মৃতের এই সংখ্যা শতকরা হিসেবে ৭১ শতাংশ বেশি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তেদ্রোস আধানম বলেন, “সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিরাপদ পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং বাস্তুচ্যুতির জেরে কলেরাজনিত মৃত্যুহারে এই উল্লম্ফণ ঘটেছে। অথচ এই রোগটি নিরাময়যোগ্য এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
গত ২০২৩ সালের কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নিজেদের তথ্য দিয়েছে ৪৫টি রাষ্ট্র। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ডব্লিউএইচও। সেখানে বলা হয়, গেল বছর আফ্রিকার দেশগুলোতে কলেরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা হিসেবে ১২৫ শতাংশ। তবে একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে ৩২ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুসারে, গত ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মৃত্যুহার বেড়েছিল ১৩ শতাংশ, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বেড়েছে ৩৮ শতাংশ এবং সবশেষ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ৭১ শতাংশ। কলেরা প্রতিরোধের জন্য টিকা রয়েছে, তবে বিশ্বের মাত্র একটি কোম্পানি সেই টিকা উৎপাদন করে। ফলে একদিকে এই টিকার দাম যেমন বেশি, তেমনি যোগানও অপ্রতুল। তাই টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিকেও এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








