ষাট বছরের মধ্যে এত বেশি ডায়রিয়া রোগী দেখেনি দেশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ষাট বছরের মধ্যে এত বেশি ডায়রিয়া রোগী দেখেনি দেশ

দেশে ডায়রিয়া আক্রান্তের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ২৮ মার্চ কলেরা হাসপাতালে ভর্তি হয় ১ হাজার ৩৩৪ জন। যা ষাট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে বাড়তি সতকর্তার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আড়াই মাসের আরফান ইয়াসিন; ছোট্ট দেহে স্যালাইনের নল। সন্তানের অসুস্থতায় মলিন মায়ের মুখে চিন্তার ভাজ। হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হওয়ায় রাজধানীর জুরাইন থেকে মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে ছুটে আসে শিশুটির পরিবার।

কলেরা হাসপাতালে ভর্তি প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও শিশুদের সংখ্যাও কম নয়। দূষিত পানি, গরমসহ নানা কারণে ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২৮ মার্চ কলেরা হাসপাতালে আসে ১৩ শতাধিক রোগী। 

চিকিৎসকরা বলছেন, রোটা ভাইরাস শিশুদের ডায়রিয়াজনিত রোগ ও পানিশূন্যতার অনত্যম কারণ। 

এ বিষয়ে আইসিডিডিআরবির সহকারি বিজ্ঞানী ডা. ফারজানা আফরোজ বলেন, ‘‘মায়েরা যেটা করে, ফিডার ব্যাবহার করে কিন্তু সেই ফিডারটা ঠিকমত পরিষ্কার করে না, যে কারণে ডায়েরিয়ার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। তাই মায়েদের উচিত বুকের দুধ খাওয়ানো এবং বাচ্চার ডায়রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন খাওয়ানো।’’

শিশুর শরীরে পানিশূণ্যতার ৫টি লক্ষণ সর্ম্পকে জানা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়া গেলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ থাকতে নিরাপদ পানি পান ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিকল্প নেই।

এসএ/