বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিভাগে নদীর পানি আগামী দুদিন (শনিবার ও রবিবার) সমতল থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হতে পারে।


শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে নদ-নদীর পূর্বাভাসে এসব তথ্যই জানানো হয়েছে।


পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়াও দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ি ঢল বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড


বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ-সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী দুদিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।


আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুদিন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।


এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে কক্সবাজার শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে গেছে। শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে কয়েক শ’ দোকানপাটের মালামাল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। হাজারও ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষকে চরমমাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে সৈকতে হোটেল মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন।


আরও পড়ুন: ভারতে পাচারকালে কুমিল্লা সীমান্তে ৪৪০ কেজি ইলিশ জব্দ


টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড়ধসে ৬ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন শহরতলির ঝিলংজার দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় বাসিন্দা ও তিনজন উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।


তাদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ।


এমএল/