প্রতারণার কবলে সুনিধি, ৭ লাখ টাকা দিলেন প্রতারকদের


Janobani

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:১৬ অপরাহ্ন, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


প্রতারণার কবলে সুনিধি, ৭ লাখ টাকা দিলেন প্রতারকদের
ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী অর্ণবের স্ত্রী সুনিধি নায়েক বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরের শান্তিনিকেতন এলাকায় বসবাস করছেন। শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীতে সিবিআই-এর পরিচয় দিয়ে সাইবার অপরাধীরা সুনিধিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৭ লাখের বেশি নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, সুনিধি বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের প্রাক্তন ছাত্রী এবং কর্মসূত্রে পূর্বপল্লীতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। এর মধ্যে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। সেই দিনই অজ্ঞাত কিছু লোককে বাড়ির বাঈরে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তারা ‘হায়দরাবাদের সিবিআই’ পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাকে হুমকি দিতে থাকেন। সুনিধি ও তার বাবার প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং সাড়ে পাঁচ লক্ষ রুপি আদায় করেন। শুধু তাই নয়, গায়িকার ছবিও পর্নসাইটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাটি  জানাজানি হতেই শান্তিনিকেতনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানা।


আরও পড়ুন: যৌনকর্মী থেকে রাজনীতির ময়দানে আসার গল্প


সুনিধি জানান, বুধবার তার কাছে ফোন আসে। বলা হয়, সুনিধি নাকি নরেশ গোয়েল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত। এমনকি তার নামে নাকি একটি ক্রেডিট কার্ডও তোলা হয়েছে। এর পরেই সুনিধিকে বলা হয় তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কথোপকথন এই ভাবে শুরু হলেও পরে তাকে ও তার বাবাকে খুনের হুমকি দিতে থাকেন অভিযুক্তরা। খুনের হুমকি পেয়ে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৭ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন সুনিধি।


গায়িকা বলেন, 'ওরা আমার ও বাবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য জানে। একটা গল্প বানিয়ে বলে, আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় আমি নাকি ধরা পড়েছি! খুনের হুমকিও দেওয়া হয় আমাদের। বাড়ির বাইরে এক অজ্ঞাতপরিচয়কে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। ওরা ৬-৭ মাস ধরে নজরদারি চালাচ্ছিল আমার ওপরে। এ-ও বলেছে, আমি যদি মুখ খুলি তা হলে নরেশ গোয়েল আমাকে মেরে ফেলবে। হিন্দি এবং ইংরেজিতে কথা বলছিল ওরা।'


সুনিধি আরও বলেন, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম সত্যিই হয়তো হায়দরাবাদের সিবিআই পুলিশ ফোন করেছেন। পরে বুঝতে পারি এরা প্রতারক। তবে এখন প্রশাসন সাহায্য করছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।”


আরও পড়ুন: কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিনেত্রীকে ফাঁকা রাস্তায় ফেলে যান নির্মাতা


সুনিধি বলেন, 'আমি কাউকে মেসেজ বা ফোন করলেও নাকি তারা জানতে পারছেন। ওরা  বলেন যে আমার ছবি ডার্ক ওয়েবে ছেড়ে দেবেন। আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙে দেওয়াই ওদের উদ্দেশ্য ছিল। আমি গত তিন দিন ধরে খুব ভয়ে ছিলাম। এখন তদন্ত চলছে। আমি টাকা ফেরত চাই। এ ছাড়াও অপরাধীদের শাস্তি চাই। তার সঙ্গে নিরাপত্তাও চাই।'


সুনিধি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসাবে পরিচিত। শান্তিনিকেতনে মাঝেমাঝেই তিনি যান নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিকড়ের টানে। সেই জন্যই পূর্বপল্লীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তিনি।


এমএল/