উজিরপুরে ভাগ্নিকে স্ত্রী বানিয়ে ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করলেন যুবলীগ নেতা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


উজিরপুরে ভাগ্নিকে স্ত্রী বানিয়ে ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করলেন যুবলীগ নেতা
বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সভাপতি সালমান কবির।

মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু: বরিশালের উজিরপুর উপজলায় ভাগ্নিকে ভুয়া স্ত্রীর পরিচয়ে হতদরিদ্রদের ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করলেন যুবলীগ নেতা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 


উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সভাপতি সালমান কবির তার ভাগ্নি লিজা মনিকে স্ত্রীর নামে ভূয়া পরিচয়ে ভিজিডির প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ২০ মাসে ৬ শত কেজি চাল হাতিয়ে নেয়। 


আরও পড়ুন:  ২০০ একর জমি ফেরত দেবে ভারত


সুত্রে জানা যায়, সালমান কবিরের স্ত্রীর নাম মরিয়ম বেগম এবং শশুরের নাম ইসমাইল সরদার। তবে লিজা মনি সালমান কবিরের বোন কমলা বেগমের মেয়ে। মূলতঃ তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার দোসর যুবলীগ নেতা সালমান কবিরের দাপটেই ভূয়া পরিচয়ে ভিজিডির চাল হাতিয়ে নেয়। 


রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সালমান কবিরের বোন কমলা বেগম  বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে গেলে স্থানীয় সোহাগ ঘরামী ও সোহেল ফরাজি ভিজিডি কার্ডটি জব্দ করে। এরপর বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন সালমান কবির এলাকায় মাদক,চাঁদাবাজি,দখলবাজিসহ বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলো। সে নামে বেনামে হতদরিদ্রের নামের চাল  আত্মসাৎ করেছে। 


স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের ভোট বিহীন চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুব হোসেন হাওলাদার ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলামিন ফরাজি  (মামা-ভাগিনা) ও যুবলীগ নেতা সালমান কবির মিলে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। এক কথায় টাকা ছাড়া কোন সেবা মিলেনি। হয়রানির শিকার হন ভোক্তারা। উন্নয়ন তো দুরের কথা চেয়ারম্যান ইউসুব বাহিনীর কাছে পুরো ইউনিয়নবাসী জিম্মি ছিলো।  এমনকি জিয়া আমিন রাড়ীকে ক্রসফায়ার দেয়ার জন্য পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে একযুগ ধরে সাউথ আফ্রিকায় পাড়ি জমান বামরাইল ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সফল ইউপি সদস্য মোঃ জিয়া আমিন রাড়ী। 


আরও পড়ুন: চার শর্তে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক


এ ব্যাপারে বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি এড়িয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুব হোসেন হাওলাদারকে পাওয়া যায়নি। 


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে অভিযুক্ত'র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং কার্ডটি বাতিল করা হবে। 


এদিকে অভিযুক্তদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন বামরাইলের ইউনিয়নের এলাকাবাসী।


আরএক্স/