খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩০ অপরাহ্ন, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙামাটিতেও। শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ তুলে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা চালানো হয়েছে।  


শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় চলাচলকারী বাস, ট্রাক ট্যাক্সিতেও হামলা করা হয়। শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা। 


এই সংঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার।


আরও পড়ুন: টেকনাফের পাহাড়ে জেল ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


এদিকে দুপুর দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান। 


রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, 'সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। 


পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে সকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ সেনাবাহিনী বিজিবি কাজ শুরু করেছে।


এদিকে আগুনে ফাইবার অপটিক-এর ক্যাবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেট-এর পরিচালক মো. শাহীন।


আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি সদরে নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু


খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।  


চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 


তবে কাদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।


এমএল/