বাকৃবির নতুন ভিসি ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, কে এই অধ্যাপক?


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩০ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


বাকৃবির নতুন ভিসি ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, কে এই অধ্যাপক?
ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বাকৃবির ২৬তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে নিয়োগ দেন।


ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।


এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার জন্ম গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার পূবাইলের বড় কয়ের গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তাঁর পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবী আলহাজ্ব মোঃ আবদুল গাফ্ফার ভূঁইয়া ও মাতা ছোলেমা খাতুন। শিক্ষা জীবনে অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৮১ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি এএইচ অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং ১৯৮৩ সালে কৃতিত্বের সাথে এমএসসি এইচ এনিম্যাল ব্রিডিং-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ডিগ্রী লাভ করেন।


কর্মজীবনে প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া ১৯৮৩ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯২ সনে সহযোগী প্রফেসর ও ১৯৯৭ সনে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। তিনি ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনিম্যাল ব্রিডিং বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাটল ব্রিডিং এবং কোয়ান্টিটেটিভ জেনেটিক্স বিষয়ে পোস্ট ডক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জার্মানীর হোয়েন হেইম বিশ্ববিদ্যালয়ে এডজাঙ্কট প্রফেসর হিসাবেও সম্মানের সাথে কাজ করেছেন।


তিনি ১৯৮৯ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ১৯৯৮-৯৯ সালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফেলোশিপ, ২০১৩ সালে কোচরান ফেলোশিপ, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফেলোশিপ, ১৯৯৪ সালে জেএসপিএস, ২০০৬ সালে নরম্যান ই-বারলাগ ফেলোশিপ, ১৯৯৮ সালে আইসিএআর ইয়াং সায়েন্টিস্ট স্কলারশিপ অর্জন করেন।


আরও পড়ুন: সাত কলেজের সমন্বয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষার্থীদের


অধ্যাপক ড. ফজলুল হক প্রায় শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। রিসার্চ গেইটের তথ্যমতে উচ্চমাত্রার সূচকের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত তাঁর রিসার্চ আর্টিকেল এর মোট সংখ্যা ২৯৫টিরও বেশি। সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ৮৭ । গুগল স্কলার তার সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭ , এইচ-ইনডেক্স সংখ্যা ২৬, আই১০-ইনডেক্স সংখ্যা ৮৭। এছাড়াও তিনি ৭ টি বই প্রকাশ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে রেড চিটাগাং ক্যাটল জাতের উদ্ভাবক এবং বাংলাদেশ রেড চিটাগাং ক্যাটল ব্রিডিং এসোসিয়েশনের সভাপতি।


আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর বৈধভাবে হলে সিট পেয়ে যা বলছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা


একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিনবার নির্বাচিত সদস্য, বাকৃবি পশুপালন অনুষদের সাবেক ডিন, বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) বাকৃবি শাখার সভাপতি, বাকৃবির জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দলের সভাপতি হিসেবে ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সংগঠন বিনোদন সংঘ, সাহিত্য সংঘ, পদচিহ্নসহ বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তিনি ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন।


তিনি হুমবোল্ড এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বায়োটেকনোলজিক্যাল সোসাইটি, ব্রিটিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজব্যান্ড্রী এসোসিয়েশন, কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংগঠনের আজীবন সদস্য হিসাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।


জেবি/এসবি