নবীনদের পদচারণায় মুখরিত রাবি ক্যাম্পাস


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


নবীনদের পদচারণায় মুখরিত রাবি ক্যাম্পাস
ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মতিহারের সবুজ চত্বর। 


রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই রঙিন বেশে নবীনদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ১০টায় বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের সামনে তাদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবীনদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।


নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে প্রতিদিনের চেয়ে একটু অন্যরকম সাজে ক্যাম্পাসে এসেছেন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। পরিচিতর মাধ্যমে বরণ করে নেন বিভাগের শিক্ষকরাও। এ যেন অন্য রকম এক উৎসব।


আরও পড়ুন: বাকৃবির নতুন ভিসি ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, কে এই অধ্যাপক?


ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, নতুনদের আগমনে নতুন রূপ ধারণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, টুকিটাকি চত্বর, আম চত্বর, পরিবহন মার্কেট, ইবলিশ চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের আড্ডা ছিল লক্ষণীয়। তবে পুরাতনদের ছাপিয়ে ক্যাম্পাসে নতুনদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো।


নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে সবাই যখন একাডেমিক ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তখন যেন আনন্দের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সবার হাতে হাতে ফুল, একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। অনেকে আবার বসে পড়েছেন আনন্দ আড্ডায় প্রবীণদের কেউ কেউ আবার গান ধরেছেন মনের আনন্দে। ক্যাম্পাসের পুরোটায় এক আনন্দঘন পরিবেশে। 


আরও পড়ুন: সাত কলেজের সমন্বয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি শিক্ষার্থীদের 


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অনুভূতি জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন রায়হান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আজকের দিনটা আমার কল্পনার মতোই ৷ আমি কোনোদিন ভাবিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবো৷ আমি এক এতিম খানায় বড় হয়েছি সেখান থেকেই আমার পড়ালেখা। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখা থেকে পিছপা হয়নি। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি শ্রমিকের কাজ করতাম। স্কুল কলেজে শিক্ষকরা আমাকে ক্যাম্পাসের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতো। এখানেই চাইবো আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে একাডেমিক এর পাশাপাশি এক্সটা দক্ষতা অর্জন করতে। এজন্য আমি আমার শিক্ষক ও সিনিয়র ভাই বোনদের সহযোগিতা ও দোয়া চাই। 


সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিন তাকিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সকলেরই একটা স্বপ্ন থাকে। আমিও তার ব্যাতিক্রম নয় ৷ আজকের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ক্লাস হওয়ার কথা ছিলো জুলাইয়ের ১ তারিখে কিন্তু হয়নি। আন্দোলন চলাকালীন আমাদের বাড়িতেই অবস্থান করতে হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আমরা প্রায় ৭ মাস বাড়িতেই ছিলাম। আজকের দিনের জন্য যে কত অপেক্ষা করেছি তা বলে বুঝাতে পারবো না। আজকে আমাদের অরিয়েন্টেশন ক্লাস কিন্তু কাল রাতেও আমি ঘুমাতে পারিনি শুধু আজকের দিনের কথা ভেবে।


এমএল/