রাজধানীতে যানজটে দিনে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট

পথচারীবান্ধব রাস্তা তৈরি, বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের সেবা ও পরিধি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয় প্রবন্ধে
বিজ্ঞাপন
প্রাইভেটকারের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগে প্রতিদিন প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পরিবহন কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সেমিনারে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন ও নিরাপদ হাঁটাকে উৎসাহিত করতে এদিন সকালে হাতিরঝিলে সাইকেল র্যালির আয়োজন করে ডিটিসিএ। সে সময় বন্ধ ছিল প্রাইভেটকার চলাচল।
বিজ্ঞাপন
এদিন দুপুরে ডিটিসিএ ভবনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান। সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মূল প্রবন্ধে বলা “গাড়িভিত্তিক উন্নয়নের দুষ্টচক্রে সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার বাড়ছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে সড়কে গাড়ি বাড়ায় যানজট ও দূষণও বাড়ছে। যানজট নিরসনে প্রাইভেটকার নিবন্ধনে নিয়ন্ত্রণ, কার ফ্রি স্কুল জোন গড়ে তোলা, পথচারীবান্ধব রাস্তা তৈরি, বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের সেবা ও পরিধি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয় প্রবন্ধে।”
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব এহছানুল হক জানান, “ঢাকা শহরে দেখা যায়, একটি শিশুর জন্য একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। ফলে যানজট বাড়ছে। আর গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়লেও শৃঙ্খলা না থাকায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। একটি সড়ককে যেন সপ্তাহে এক দিন গাড়িমুক্ত রাখা যায়, সে জন্য সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
বিজ্ঞাপন
নীলিমা আখতার বলেন, “ঢাকা শহরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিবন্ধিত যানবাহনের মাত্র ১০ শতাংশ গণপরিবহন।”
জেবি/এসবি








