২৮ জাতের ধান নষ্ট হওয়ায় ভেঙ্গে গেছে লাখাইয়ের কৃষকদের স্বপ্ন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


২৮ জাতের ধান নষ্ট হওয়ায় ভেঙ্গে গেছে লাখাইয়ের কৃষকদের স্বপ্ন

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে কৃষকদের সব স্বপ্ন বছরের প্রধান আবাদের বোরো (ইরি) ধান ফসল ঘিরে ৷ আবাদী মাঠগুলোয় বোরো ধান বলতে গেলে সবুজ চাদর মেলে ধরেছে ৷ সব মাঠেই সবুজের সমারোহ। অনেক মাঠে কৃষক বোরো ধান ক্ষেতে  আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কৃষকেরা থোড়মুখী বোরো ধান ফসলের পচন রোধ ও পোকা কবল থেকে রক্ষায় কীটনাশক স্প্রে করছেন ৷

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় , এবারের বোর মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে  এ বছর লাখাই উপজেলায় ১১ হাজার ১শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে  ১১ হাজার ২শত ২০ হেক্টর বোরো ধান আবাদ করেছে লাখাই উপজেলার কৃষক।  কৃষি অফিসের   টার্গেট ৪৯ হাজার ১শত ৮৩ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন। 

লাখাই উপজেলার কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার  জানান   লাখাই উপজেলার লাখাই ও বুল্লা ইউনিয়নের কৃষকগন বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। এ বছর লাখাই উপজেলায় হাওর ভুক্ত ১১ হাজার ২শত হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্দারন করা হয়েছে। এ বছর হাইব্রীড ধানের লক্ষ্য মাত্রা আবাদের পরিমান ৫ হাজাী ৫শত ৬০ হেক্টর এবং হাওর ভুক্ত উপশী জাতের ধান ২৭শত ৬০ হেক্টর জমি এবং হাওয়র বহির্ভুত হাইব্রীড জাতের ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১হাজার ৪০ হেক্টর এবং উপশী জাতের ধান ১৭শত ৫০ হেক্টর ভুমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।

 এ ব্যাপারে লাখাই একাধিক কৃষকের সাথে আলাপ কালে কৃষকরা ২৮ জাতের ধানের শীর্ষে চাউল হচ্ছেনা সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামের কৃষক উত্তম শীল বলে আমার আরাই কানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। 

একই গ্রামের ফজল মিয়া বলেন, আমার পাঁচ কানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। 

শিবপুর গ্রামের আলা উদ্দীন বলেন, আমার সাত কানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।উপজেলার  হাওর অঞ্চল শিবপুরের প্রায় হাজার বারোশো কানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।  

বুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বুল্লা গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল মিয়া বলেন, আমার ২৮ ধান পাঁচ কানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।  

বুল্লা ইউনিয়ন বেগুনের গ্রামের সাব্বির আহমেদ বলেন, বীজ এর কারণে আমাদের এলাকায় অধেকেরই ছেয়ে বেশী কৃষকের ২৮ জাতার ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।  আমারও ছয় কানি ২৮ ধান নষ্ট হয়ে গেছে।  

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এ বছর হাওরের পানি আগে নেমে যাওয়ার কারণে, অনেক কৃষক ভুল করে আগে ধান রোপনের চিন্তা করছিলেন।আমরা কৃষককে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসতেছি যেন টাইম মত ধান রোপন করা হয়, আবার এই বছর বৃষ্টি পাতের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে ফুল আসার পর ধানের গাছ ঠিক মত পানি পায় নাই এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট শক দেখা দেয়। এই সব কারণে হাওরের কিছু কিছু জায়গায় ধানের চিটা দেখা দিচ্ছি। মোড়াকরি ইউনিয়নে র জিরুন্ডা গ্রামে সহ অন্যান্য স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছি যাতে জমিতে ৩-৪ ইঞ্চি পানি রাখা হয়।

এসএ/