তিস্তায় ভাঙনের আশঙ্কা, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪


তিস্তায় ভাঙনের আশঙ্কা, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ
ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। তবে কুড়িগ্রামে তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও কমেনি প্লাবিত গ্রামের মানুষের কষ্ট, নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলার সব নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নেই বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা। 


কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গত ২৫ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। তবে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমন ধান, চীনাবাদাম ও মরিচ ক্ষেত। 


আরও পড়ুন: তিস্তায় ভাঙনের আশঙ্কা,দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ


ঘড়িয়ালডাঙা এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ঋণ নিয়ে তিন বিঘা জমিতে মরিচ রোপন করেছিলাম, ক্ষেত ভালো হয়েছিল কিন্তু বন্যা এসে আমার সব শেষ করে দিল। খিতাব খাঁ এলাকার চর গতিয়াশাম এলাকার কৃষক আব্দুল হক বলেন, আমন ক্ষেত দিয়ে ছয় মাসের খাবারের ব্যবস্থা হতো। বন্যায় দুই বিঘা জমির ধান এখন পানিতে তলিয়ে আছে। যেগুলো নষ্ট হয়েছে। অসময়ে বন্যা এসে নিঃস্ব করে দিল আমাকে। অপরদিকে, পানি কমার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। বিশেষ করে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ, ঘড়িয়ালডাঙা, খিতাব খাঁ, কালিরহাট, সরিষাবাড়ি, সদর উপজেলার ঘোগাদহ, যাত্রাপুর, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহবের আলগা, নয়ারহাট এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। 


অনুমোদন না থাকায় ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যার পানিতে জেলাজুড়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল পানিকে তলিয়ে গেছ। যার মধ্য শাকসবজি, আমন ধান, চীনাবাদ এবং মরিচ। পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে এসব ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে


কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, বর্তমান সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার থেকে পানি অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। সামনে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কক নেই। পানি কমার সাথে কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনুমোদন না থাকায় সেসব এলাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না।


এমএল/