ফেসবুকে ডলার আয়ের নেশায় ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে তরুণরা

সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুকের বিভিন্ন ভিডিও, কন্টেন, তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়সী থেকে বৃদ্ধরা সময় কাটাচ্ছে। ফেসবুক বর্তমানে জনপ্রিয় সাইড যার বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবহারের সংখ্য ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার।
বিজ্ঞাপন
যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ। গত এক বছরের মধ্যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই কোটি বেড়েছে। বাংলাদেশে ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২২৮ কোটি।
ফেসবুকে থেকে এখন অর্থ আয় করা যায়। ফেসবুক মনিটাইযেশন পেলে ইনকাম করা যায়। ভিডিও, রিলস ও ছবির ওপর নির্ভর করে ফেসবুক কতৃপক্ষ মেটা ডলার দিয়ে থাকে। ডলার ইনকামের নেশায় সকল শ্রেণির মানুষ এখন ফেসবুকে ছোট বড় বিভিন্ন ভিডিও ও কন্টেন বানাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অর্থ আয়ের জন্য রিকশাওয়ালা থেকে চাকরিজীবী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনী সদস্য টিকটকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা যায়। এতে ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে অনেকে।
এছাড়াও অনেকে অশ্লীল যৌন উত্তেজোক কন্টেন তৈরি করে যুব সমাজকে বেপথে ধাবিত করছে। অনেকে ভাষা বিকৃতি করে বানাচ্ছে কন্টেন যার ফলে আঞ্চলিকভাবে সেই সব এলাকাকে হাসির পাত্র তৈরি করছে।
বিজ্ঞাপন
অনেক ভিডিও কন্টেন ক্রিয়েটর আছে যারা প্রতিনয়ত সাতক্ষীরার ভাষাকে বিকৃতি করছে। ভাষা বিকৃতকারি কন্টেন ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেছে সাতক্ষীরার সুশীল সমাজ।
সামাজিক আন্দোলনকারি নেতা মিলন বিশ্বাস রুদ্র বলেন, ‘ফেসবুকে ইনকামের নেশায় মানুষ তার ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে। কিছু মানুষের ফেসবুকে শুভ সকাল, শুভ দুপুর, শুভ বিকাল, শুভ সন্ধ্যা ও শুভ রাত্রি পোষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। অনেক ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ মানুষরা এই ধরনের কর্মকান্ড বিষয়টটি দৃষ্টিকটু হচ্ছে। টাকা ইনকামের নেশায় মানুষ এত নিচে নামতে পারে ফেসবুকে পোষ্ট দেখলে বোঝা যায়।’
বিজ্ঞাপন
আরেক সামাজকর্মী উদারতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক শিমুল আহম্মেদ বলেন, ‘ফেসবুকের কারণে দিন দিন নিজেকে অবোধ, অজ্ঞ হিসাবে উপস্থাপন করছে। অনেক ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষক তারা ইনকামের নেশায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক ছোট ভিডিও ও অশ্লীল ছবি পোস্ট করছে। এই ধরনের পোষ্ট একদিকে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি করছে। অপরদিকে মানুষের ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে।’
সমকালের সাংবাদিক কিশোর কুমার বলেন, ‘ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি, তথ্য, আমরা জানতে পারি। কিন্তু বর্তমানে ফেসবুকে অশ্লীল কন্টেন আর যৌন উত্তেজক ভিডিও সয়লাব। ফেসবুকের ডলার আয়ের নেশায় অনেকে ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে। ফেসবুক কতৃপক্ষ এ সকল অশ্লীল কন্টেন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দরকার।’
নাগরিক কমিটির নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আজকাল ফেসবুক খুললে বিভিন্ন পেজে সামজিক অবক্ষয়ের ভিডিও দেখা যায়। পরিবারের সামনে বসে ফেসবুক চালানো লজ্জার। অশ্লীল কন্টেনে সয়লাব যার ফলে যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ডলার আয়ের নেশায় ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে।








