কুষ্টিয়ায় লালন একাডেমির কমিটি বিলুপ্ত-নতুন কমিটি প্রনয়ণের দাবিতে মানববন্ধন

লালন শাহ মাজারের সামনে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
বিজ্ঞাপন
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কমিটি প্রনয়ণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার ব্যানারে কুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়া এলাকায় লালন শাহ মাজারের সামনে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প, সাংস্কৃতিক, ও সামাজিকমূলক কর্মকান্ডের বিভিন্ন জায়গায় কমিটি করা হয়েছে। যেই কমিটিগুলোতে আওয়ামীলীগ সরকারের দালালদের নিয়োজিত করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এখনো এসব কমিটিতে তাদের দালালেরা রয়েছে। সেই কমিটির মাধ্যমে দালাল আমলারা আওয়ামীলীগের দালালির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদেশ থেকে যেভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার দূর করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবেই এসব কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর পহেলা কার্তিক থেকে কুষ্টিয়া বাউল সম্রাট লালন শাহের তিরোধান দিবস অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তিনি গোপনভাবে আওয়ামীলীগের সময়ের কমিটি থাকা অবস্থায় লালন মেলা অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছেন। আগে আওয়ামীলিগের সময়ের লালন একাডেমির এডহক কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে তারপর লালন মেলা অনুষ্ঠিত হবে তা না হলে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। অনতিবিলম্বে এই এডহক কমিটি বাতিল না করলে এ আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে বলে জানিয়েছেন উপস্থিত বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তৌকির আহমেদ, সমন্বয়ক রাইসুল হক, সমন্বয়ক সুজন মাহমুদ, স্থানীয় বাসিন্দা ও লালন একাডেমির সাবেক সদস্য মাহমুদুর আল কাদরী, শাম্মী হক, আলমাজ হাসান মামুন, সাজেদুর রহমান বিপুল।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে শেষবার লালন একাডেমিতে ৩ বছর মেয়াদী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জেলা প্রশাসক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এডহক কমিটিতে একাডেমির ৫ জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে যারা আওয়ামীলীগ নেতা।
বিজ্ঞাপন
এমএল/