রাবির অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:২৪ অপরাহ্ন, ১লা অক্টোবর ২০২৪
উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ ও দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। তার মধ্যে একটি বহুদিন যাবৎ রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়া। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীন রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে যাতায়াতের সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর গেইট হতে শহীদ মিনার, সিরাজী একাডেমিক ভবনের পেছনের রাস্তা, বিজ্ঞান ভবনের পাশ দিয়ে চারুকলা পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ও বিনোদপুর গেট হতে মাদার বখ্শ হল ও মাদার বখ্শ থেকে বদ্ধভূমিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন যায়গার রাস্তার বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিয়োগ
দীর্ঘ সময়ের মধ্যেই এসব রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মোস্তানসির বলেন, আমি বিনোদপুর একটি মেসে থাকি। ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আমাদের একটাই রাস্তা। তা হলো শহীদ শাহজাহান সিরাজ সড়ক। কিন্তু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তার মাঝে পানি জমে থাকে। পাশদিয়ে কোন গাড়ি গেলেই গায়ে কাঁদা পানি চলে আসে। এমনকি হাঁটতেও শরীরে কাঁদা লেগে যাচ্ছে। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তাগুলো এমন খারাপ অবস্থা হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাগুলোতে আলোক সজ্জায় ভরপুর কিন্তু অভ্যন্তরে অনেক রাস্তা আছে যা দিয়ে হেটে যাওয়াই যায়না। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসে। অনেক রাস্তায় বিভিন্ন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যেখানে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। হাটার সময় বিভিন্ন গাড়ির ছিটা পানি ও কাঁদা শরীরে আসে। আর সন্ধ্যার পর তো অইসব রাস্তা দিয়ে হাটায় যায়না। পানির কারণে কোথায় গর্ত তা বুঝা মুশকিল। আমরা চাই এই রাস্তাগুলো যেন খুব দ্রুত মেরামত করা হয়। রাস্তার ভোগান্তি আমাদের দীর্ঘদিনের। এর নিরসন চাই খুব শিগগিরই।
আরও পড়ুন: রাবি সফরে চীনের হোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফ্যুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিদল
রিকশাচালক শফিক বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রিকশা চালিয়ে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে শিক্ষার্থীরা হেটেই চলে যায়। কিছু মামারা বলেন এই রাস্তায় রিকশা দিয়ে না গিয়ে হেটে গেলেই ভালো।
এবিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা কয়েকমাস আগে একটা রাস্তার কাজ করেছি। এইবছরও কিছু রাস্তা মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। ক্যাম্পাসে যে রাস্তাগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ সেগুলোকে আগে মেরামত করার চেষ্টা করবো। আমরা চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপআলোচনা করেই কাজ গুলো সম্পন্ন করবো।
এমএল/