বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর গুলি, নিহত ১


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৭ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪


বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর গুলি, নিহত ১
প্রতিকী ছবি

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩ জেলে। ঘটনায় ৬০ মাঝি মাল্লা সহ ৪ টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় শিকার কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকাধিন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে।


ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে দুটি ট্রলারে ডাকাতি, জেলে গুলিবিদ্ধ


গুলিবিদ্ধ হয়ে নিয়ে জেলে মো. ওসমান শাহপরীরদ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীরদ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধিন ট্রলারের জেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


ধরে নিয়ে যাওয়া অপর ৪ টি ট্রলার সমুহের মালিক হলেন, শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ৪ টি ট্রলারে ৬০ জন মাঝি মাল্লা রয়েছে।


ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর ৫ টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধিন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি।


আরও পড়ুন: টেকনাফে সাবেক এমপি বদিসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি মাল্লাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নিহতকে নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছলে বিস্তারিত জানা যাবে।


এব্যাপারে কোস্টগার্ডের সাথে আলাপ করার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শোনেছেন। এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে।


কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর ৪ টি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।


এমএল/