কুতুবদিয়ায় নোঙর করে রাখা এলপিজি জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩৩ অপরাহ্ন, ১৩ই অক্টোবর ২০২৪


কুতুবদিয়ায় নোঙর করে রাখা এলপিজি জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছবি: প্রতিনিধি

কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় বহিঃনোঙরে এলজিপিবাহী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ৩১ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। রাতে ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধার কাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে মেটাল শার্ক এবং চারটি অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল।


শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত ১২টা ৪৫মিনিটের দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ার উপকূলের পশ্চিমে বহিঃনোঙর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের সংবাদমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করতে না পারলেও হতাহতের কোন ঘটনা নেই বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় নোঙর করে রাখা এলপিজি বহনকারী জাহাজে আগুন


কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল। তবে কোন দেশ থেকে এলপিজি বহন করে আনছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


মুনিফ তকি বলেন, এলপিজি বহনকারি ‘সুফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধার কাজ চালায় কোস্টগার্ডের ২টি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর ৫টি অত্যাধুনিক জাহাজ। 


তবে ১২ ঘন্টা চেষ্টার পর রবিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৩০মিনিটের দিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাহাজটির ভিতরে পুনরায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন।


আরও পড়ুন: পেকুয়ায় নিহত স্কুল শিক্ষক আরিফের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল


কোস্টগার্ডের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিল। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।


জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কি পরিমান এলপিজি ছিল তা জানা যায়নি। এছাড়া জাহাজটিতে কতজন ক্রু ছিল তাও নিশ্চিত নই। 


এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোন ধরণের নাশকতা তা জানতে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজ খবর নিচ্ছে বলে জানান, খন্দকার মুনিফ তকি।


এমএল/