পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই 'ভুলবশত' ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট পেলেন রাবি শিক্ষার্থী


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৪


পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই 'ভুলবশত' ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট পেলেন রাবি শিক্ষার্থী
ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই ফার্স্ট ক্লাস ফলাফল পেয়েছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার রেজাল্ট শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে বিষয়টি 'ভুলবশত' হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষা কমিটির এক সদস্যের। 


বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয় এবং ৬ জুন শেষ হয়। বুধবার (১৬ অক্টোবর) তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায় সাদিয়া আফরোজ মারিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর নামের পাশে ফলাফল জিপিএ ৩.৫০। যিনি কিনা পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করেননি। 


আরও পড়ুন: নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে জাবি ছাত্রদলের মিষ্টি বিতরণ


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ মারিয়া গর্ভধারণজনিত অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করেননি। অর্থাৎ তিনি দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডিই পেরোতেই পারেননি। ফলে, তিনি তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষাতেও অংশ নেননি।


এ বিষয়ে সাদিয়া আফরোজ মারিয়া বলেন, আমি পরীক্ষা দেই নাই এই তথ্যটি সঠিক। কিন্তু আমার ফলাফল এসেছে কি না আমি জানি না। বর্তমানে আমি ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারে অধ্যায়নরত আছি। 


বিষয়টি স্বীকার করে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, হ্যাঁ, ফলাফলের অসঙ্গতিটা আমাদের নজরে এসেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আশা করি, আগামীকালের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে। পরীক্ষা কমিটিতে আমি সভাপতি বাদেও আরও তিনজন শিক্ষক সদস্য হিসেবে ছিলেন। তারাই মূলত টেবুলেশনের কাজটি করেছেন। আমি সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলাম।'


আরও পড়ুন: কুবি বসুন্ধরা শুভসংঘের নেতৃত্বে তারিন-ফরহাদ


পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, ভুল তো মানুষেরই হয়৷ ভুল হওয়াটা কি অস্বাভাবিক? বাটন চাপতে গিয়ে এই ভুল টা হয়েছে। তবে, আমাদের খাতায় এমনটি নেই। ডিপার্টমেন্ট থেকে রেজাল্টশিট পাঠানোর পরে এমনটি হয়েছে। মেয়েটি পরীক্ষা দেয় নাই। ফলে, তার ওই কলাম টা ফাঁকা ছিলো। কিন্তু অন্যজনের নম্বর টা ভুলবশত ওই কলামে যুক্ত হয়ে গিয়েছে৷


এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।


এমএল/