‘ভাই তাড়াতাড়ি গোল দেন’, প্রতিপক্ষ খেরোয়াড়কে গোলরক্ষক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘ভাই তাড়াতাড়ি গোল দেন’, প্রতিপক্ষ খেরোয়াড়কে গোলরক্ষক

‘ভাই তাড়াতাড়ি গোল দেন… এই সময়ের মধ্যে গোল দিতে হবে’— ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার এমনটা বলেছে আজমপুর ক্লাবের ফুটবলারকে। এ তথ্য জানিয়ে সম্প্রতি আজমপুর ফুটবল ক্লাবের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন আজমপুর ক্লাবের কোচ জালাল আহমেদ।

গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) আজমপুর ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে ফরাশগঞ্জের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই ম্যাচে কথাটি উচ্চারিত হয়েছে, বলেন জালাল আহমেদ।

ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ দেখলে জালাল আহমেদের মন্তব্য বাস্তবই মনে হবে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের ৭ মিনিটে সমতায় ফেরে ফরাশগঞ্জ। কিন্তু আজমপুরের গোলরক্ষকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ডি বক্সের বাইর থেকে নেয়া শট মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় জালে। আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন আজমপুরের গোলরক্ষক।

উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের সময় এগিয়ে যায় আজমপুর ফুটবল ক্লাব। ৪ ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে গোল করে আজমপুর।

আগে শোনা যেতো ম্যাচ পাতানোর কথা। আর এখন হয় স্পট ফিক্সিং। ম্যাচ না পাতিয়েও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোল করা কিংবা গোল দেয়াকে বলা হয় স্পট ফিক্সিং। গোল হয় মিনিটের হিসেবে। এই ম্যাচে তাই হয়েছে বলে জানান আজমপুর ফুটবল ক্লাবের তৎকালীন কোচ।

এরপর ম্যাচের ৬১ মিনিটের দৃশ্য দেখলে যে কারও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ফরাশগঞ্জের ডিফেন্ডার ইচ্ছা করেই যেনো বলটি ছেড়ে দিলো আজমপুরকে, গোল দেয়ার জন্য।

জালাল আহমেদ বলেছেন, আমার প্লেয়ারদের ফরাশগঞ্জের ফুটবলার বলে এই টাইমের মধ্যে গোল করতে হবে। তখন আমার দলের দুই-একজন বলে, মার মার। বাকিরা তাকায় থাকে। জালাল আহমেদের ভাষায় স্পষ্ট, ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত দুই দলের ফুটবলাররা।

এসএ/