পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে হামলা, নিহত ৪১


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:৩০ অপরাহ্ন, ২২শে নভেম্বর ২০২৪


পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে হামলা, নিহত ৪১
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। সিএনএন-এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা ছিল এটি।


বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে প্রায় ২০০ জন যাত্রীবাহী গাড়ির একটি বহর আফগান সীমান্তসংলগ্ন খুররাম জেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সশস্ত্র হামলাকারীরা পুলিশের নিরাপত্তা বহরকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালায়। তারপর তারা পুরো বহরের দিকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।


আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা-লেবাননে শতাধিক নিহত


বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী জানান, হামলার সময় তিনি তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি রাস্তায় আহত ও নিহত মানুষদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।


খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী এই হামলাকে একটি ‘বড় ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।


অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ জানান, হামলায় প্রায় ১০ জন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তারা রাস্তার দুই পাশ থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। হামলার পর পুলিশ এবং স্থানীয়রা নারীদের কাছকাছি বাড়িগুলোতে আশ্রয় নিতে সহায়তা করে। হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে।


প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহতদের বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে খুররাম এলাকায় শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি হয়েছে। গত মাসেও এই অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বহরে হামলায় ১৫ জন নিহত হন।


অঞ্চলের সড়কটি সম্প্রতি আবার খুলে দেওয়া হলেও কেবল পুলিশের নিরাপত্তা সহযোগিতায় যাতায়াতের অনুমতি ছিল।


আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকতে পারেন


পাকিস্তানের খুররাম জেলার সঙ্গে আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে। এসব অঞ্চলে আইএস এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও অঞ্চলটির ভূমি বিরোধকে সহিংসতার আরেকটি কারণ হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।


বৃহস্পতিবারের হামলার উদ্দেশ্য এবং হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার ফলে খুররামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।


আরএক্স/