ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন নিক্ষেপ


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:১৩ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুলাই ২০২৫


ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন নিক্ষেপ
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপের পর বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) রাতভর ইউক্রেনে রেকর্ড সংখ্যক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে মোট ৫৩৯টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন এবং ১১টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।


গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে এর আগে কখনও এক রাতে এত বেশি সংখ্যক ড্রোন রুশ বাহিনী নিক্ষেপ করেনি। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর নিক্ষিপ্ত ড্রানগুলোর মধ্যে ৪৭৬টিকে এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৬৩টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক এলাকায় আঘাত হেনেছে এবং সারা রাত ধরে চলা এই হামলায় নিহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।


আরও পড়ুন: 'মার্কিন বাঙ্কার বাস্টারের মতো' অগ্নি-৫ বানাচ্ছে ভারত


ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিয়েভের মূল শহর ও উপশহরগুলোর বেশ কিছু এলাকায় কয়েক ডজন বহুতল ভবন আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের অনেকগুলোই আবাসিক ছিল।


শুক্রবার (০৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সাইবিহা বলেছেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার পর ১৩ ঘণ্টা ধরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রুশ বাহিনী। হাজার হাজার মানুষ মেট্রোরেল স্টেশন, ভূগর্ভস্থ পার্কিং লট ও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত পাওয়া গেছে বিস্ফোরণের আওয়াজ। গতকালের রাতটি কিয়েভের জন্য খুবই ভয়াবহ এবং নির্ঘুম রাত ছিল। এত বাজে রাত এর আগে কখনও কিয়েভের বাসিন্দারা দেখেনি।”


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি আমরা বৃহস্পতিবার রাতে দেখলাম। এখানে উল্লেখ্য যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপের সংবাদ নিয়ে যখন গণমাধ্যমগুলো ব্যস্ত— সে সময়েই আমরা প্রথম সাইরেনের শব্দ শুনতে পেয়েছি। এই হামলার মধ্যে দিয়ে রাশিয়া আরও একবার প্রমাণ করল যে তারা সন্ত্রাস এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়।”


আরও পড়ুন: ইরানের ওপর আবারও আঘাত হানল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র!


এ ব্যাপরে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।


বৃহস্পতিবার পুতিনকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘসময় ধরে কথা বলেছেন তারা। পরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে এই ফোনালাপে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইস্যুটির অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা করেছিলেন, কিন্তু তা হয়নি। সূত্র: সিএনএন।


এমএল/