ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বযুদ্ধের দিকেই এগোচ্ছে : পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:২১ অপরাহ্ন, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাত এখন একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ থেকে বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন পুতিন।
পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পর এই যুদ্ধ বৈশ্বিক সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। মস্কো পাল্টা আঘাত করতে পারে বলে পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় একটি নতুন ধরনের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন ও ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে।
পুতিনের এই ভাষণের মূল মেসেজ হচ্ছে : পশ্চিমাদের উচিত সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণে রাখা। তিনি পশ্চিমাদের উদ্দেশ করে বলেন, পাল্টা আঘাত হানার অধিকার রাশিয়ারও রয়েছে। তিনি এটাও বলেন, ইউক্রেন হামলা চালালেও তা রুশ সামরিক পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অনুমোদনের পর ইউক্রেন ১৯ নভেম্বর মার্কিন-নির্মিত ছয়টি এটিএসিএমএস এবং ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালায়। পুতিন বলেন, ‘সেই মুহূর্ত থেকে ইউক্রেনের একটি আঞ্চলিক সংঘাত, যা আগে থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব উসকে দিয়েছে এখন তা একটি বৈশ্বিক যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে।
পুতিন বলেন, মস্কো ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রকল্প লক্ষ্য করে একটি নতুন মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক নন-পারমাণবিক ব্যালিস্টিক পরীক্ষা চালিয়েছে, যা ‘ওরেশনিক’ নামে পরিচিত। হামলাটি সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন পুতিন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নামে যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো ‘ভাঁওতাবাজি’ করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুকিক।
তিনি আরো বলেছেন, যারা পুতিনের সতর্কবার্তাকে পাত্তা দিচ্ছেন না তারা হয় ‘পাগল’, নয়তো পুতিন সম্পর্কে ‘অজ্ঞ’।
সূত্র : রয়টার্স