আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ফেব্রুয়ারি-মার্চে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩২ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪


আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ফেব্রুয়ারি-মার্চে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ | ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাওয়া যাবে।


মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।


সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে মূলত তারা এসেছে রাজস্ব খাত, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি এগুলো দেখার জন্য। এসব বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে আলাপ করেছে, এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে।


আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ এখন দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা


তিনি বলেন, আমাদের স্থিতিশীলতা কিন্তু ফিরে আসছে। তবে সম্পূর্ণ আসে নাই, এখন সময় বিনিয়োগের। আপনারা দেখবেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট আগের মতো আর ওঠানামা করছে না। ব্যাংকিং খাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের লিকুইডিটি সাপোর্ট লাগছে। তবে ইসলামী ব্যাংকের মতো বড় ব্যাংকে কিছুটা ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও আমদানি প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন।


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রেমিট্যান্স খুবই ভালো। রপ্তানিও হচ্ছে ভালো, আমদানি একটু কম আছে। তবে আগের থেকে একটু বেড়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতি কিছু কম আসছে, এটা আবার কিছু রেস্ট্রিকশনের কারণে। এ বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি, কী করা যায়। তারা (আইএমএফের প্রতিনিধিদল) আমাদের এখানে কিছুদিন থাকবে। আমরা তাদের বলেছি, আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিব যেটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়।


আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংকের আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড অর্জন


শ্বেতপত্র নিয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।


প্রসঙ্গত, আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে। এরপর তিন কিস্তির অর্থও পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর গত জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।


এমএল/