পরপর ৩ জুমা না পড়লে যা হয়
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪
জুমার আল্লাহুর দিন দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি দিন। একজন মসলমানের জন্য সপ্তাহের ঈদের দিন শুক্রবার। ইসলামে এ দিনের অনেক মর্যাদা আছে। সব দিনের মধ্যে জুমার দিনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। কোরআনুল কারমিমে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন , হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। (সূরা জুমা- ৯)।
আরও পড়ুন: ‘আল্লাহর ওলিদের সাথে বেয়াদবি করবেন না, বরং দুয়া ভিক্ষা চাইবেন’
হযরত রাসুলে পাক (সা.) হাদিস শরীফে এরশাদ করেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।(ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)
জুমার দিনের আমলের কথা বিভিন্ন হাদিসে আলোচিত হয়েছে। আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫)
ফজিলের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। কেউ পর পর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এক হাদিসে হযরত রাসূলে পাক (সা:) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১০৫২: তিরমিজি, হাদিস: ৫০২: মুসলিম, হাদিস: ১৯৯৯)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।
অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।
আরও পড়ুন: আজ থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক পবিত্র আজিমুশ্বান ইসলামী জলছা
নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। হজরত উমর (র.) বলতেন, ‘নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের’ (বায়হাকি: ১৫৫৯, ৬২৯১)। হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে কাফের’ (বায়হাকি: ৬২৯১)। নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বে-নামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যেকোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
এসডি/