চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় লোহাগড়ার দুইজন এলাকায় শোকের ছায়া

নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে সাতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে সাতজন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। নিহত দুইজন হলেন, উপজেলার ইতনা ইউপির উত্তর পাংখার চর গ্রামের মৃত্যু মজিবার রহমান মুনসীর ছেলে সুকানি আমিনুল রহমান মুন্সী (৪১) এবং একই উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির এগারোনলী গ্রামের আবেদ উদ্দীন ফকিরের ছেলে ইজ্ঞিন চালক সালাউদ্দীন ফকির (৪০)।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলাবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইতনা ইউপির উত্তর পাংখার চর গ্রামে নিহত সুকানি আমিনুল রহমান মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, স্ত্রীসহ তার আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমিনুল রহমান মুনসী চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল।
বিজ্ঞাপন
স্ত্রী নাদিরা বেগম সহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নিহত ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিনের মামাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাহাজে হত্যাকান্ডের বিষয়টি প্রথমে ফেসবুকে দেখতে পাই। এসময় খবরটি আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। মগলবার সকালে হাসপাতালে যেয়ে আমার ফুফাতো ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তা না হলে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হতো না। যদি ডাকাতরা এই কাজ করতো তা হলে মানিব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেত। আমাদের দাবি, দ্রুত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক যাতে দেশে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহত আমিনুল রহমান মুসীর বড় ভাই হুমায়ুন রহমান মুনসী বলেন, ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের ঘটনার দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ প্রত্যেকটি নিহতের মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাত। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন সকলেরই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাহাজে ছিল।
বিজ্ঞাপন
এসডি/








