জাহাজে ৭ খুন,পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪
চাঁদপুরের হাইমচর নীলকমল ইউনিয়নে মেঘনা নদীর মাঝেচর এলাকায় সারবাহী জাহাজ এমভি আল-বাকেরাহ মাষ্টার ও ছুতকানিসহ ৭জন খুনের ঘটনাটি কেউ কেউ ডাকাতি বললেও স্বজনদের দাবী এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যাকান্ডের প্রতিটি দৃশ্য দেখেই এমন মন্তব্য করছেন তারা। পুলিশও এই ঘটনাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহ শনাক্তের জন্য আসা স্বজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।
আরও পাড়ুন: চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় লোহাগড়ার দুইজন এলাকায় শোকের ছায়া
এর আগে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে জাহাজের নিহতদের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাইমচর থানায় মামলা হয়নি।
সকাল ১০টার পর থেকে মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়। সেখানেই তাদের স্বজনদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পরে সুরতহাল এবং ময়না তদন্তে কাজ শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার শিকার জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) এর ছোট ভাই সাদিকুর রহমান বলেন, জাহাজের মাষ্টার গোলাম কিবরিয়া আমার মামা। তার মাধ্যমেই আমার ছোট ভাই সবুজ কাজে আসেন। তিনি লস্কর হিসেবে কাজ করেন। গত ১দিন আগে আমার সাথে ভাইয়ের কথা হয়েছে। যে মর্মান্তিক ঘটনায় আমার ভাই হত্যার শিকার হয়েছে, আমি চাই এমন ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে। এই জাহাজে থাকা প্রত্যেকটি হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবী করছি। ঘটনাটি যাতে করে কেউ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা না করে আমি এটিও দাবী করছি।
এই হত্যাকান্ডের একই ধরণের দাবী জানালেন জাহাজের মাষ্টার গোলাম কিবরিয়ার ভাই আউয়াল হোসেন। তিনি বলেন, এই মাসেই আমার ভাইয়ের চাকরির মেয়াদ শেষ হত। তিনি ১ জানুয়ারি থেকে অবসরে যেতেন। উনার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু এই ঘটনার পরে সব পকিল্পনাই শেষ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযানে ৩৭২ জেলে গ্রেফতার
হত্যার শিকার আমিনুল মুন্সীর বড় ভাই মো. হুমায়ুন, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিনের মামাত ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ঘটনাটি আমরা ডাকাতি শুনলেও খুনের ঘটনার দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। কারণ প্রত্যেকটি নিহতের মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাত। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন সকলেরই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাহাজে পাওয়াগেছে। এমনকি জাহাজে থাকা ৫জনকে উদ্ধারের সময় তাদেরকে শোয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সোমবার নিহত ৭জনের নাম জানাগেলেও ঠিকানা জানা যায়নি।
এসডি/