সরকারি নির্দেশ, দেখা মাত্র গুলি করো


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সরকারি নির্দেশ, দেখা মাত্র গুলি করো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাজাখস্তানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসেম জোমার্ট তোকায়েভ সরকারি ওই আদেশে আরও বলেন, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করছে এখন বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হাতে। খবর বিবিসির। কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর অ্যালমাটিতে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর আবারও পুলিশের গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। 

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক সরকারি আদেশে বলা হয়, গুলি চালানোর আগে সতর্ক করার কোনো প্রয়োজন নেই সেনা সদস্যদের। শহরের কেন্দ্রস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। 

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত কয়েকদিনের টানা অস্থিতিশীলতায় ২৬ 'সশস্ত্র সন্ত্রাসী' এবং ১৮ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, এলপিজি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রোববার (২ জানুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় আলমাতিসহ কাজাখস্তানের ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে। তবে গত পাঁচ দিনে তা রূপ নিয়েছে সহিংস রাজনৈতিক সংঘাতে। গত ৫ দিনের বিক্ষোভে দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ জন। যাদের ২৬ জন বিক্ষোভকারী এবং বাকি ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা।

এদিকে, প্রেসিডেন্টের অনুরোধে দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট তোকায়েভের দাবি, অবস্থা এখন অনেকটাই শান্ত রয়েছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য বিদেশি 'সন্ত্রাসীদের' দায়ি করেছেন তিনি। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের সব অঞ্চলে 'সাংবিধানিক শৃঙ্খলা' বজায় রয়েছে। পরিস্থিতি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

তবে রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় সশস্ত্র সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। দেশব্যাপী ৭০টি জায়গায় চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তিন হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য,উল্লেখ্য, গত শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিনই কাজাখস্তানে দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয় জ্বালানির দাম। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত সেই বিক্ষোভ দেশের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে ক্রমে তা রূপ নেয় গণবিদ্রোহে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এক পর্যায়ে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অরগ্যানাইজেশনের কাছে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্ট কাশেম-জোমার্তে তোকায়েভ।