জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু: ড. ইউনূস


Janobani

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:১০ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪


জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু: ড. ইউনূস
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সম্বোধন করে দেওয়া এক বিবৃতিতে কার্টারের মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা জানান ড. ইউনূস।


তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এক চিঠিতে ড. ইউনূস বলেন, জিমি কার্টার ছিলেন অসাধারণ একজন নেতা, মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত এক প্রবক্তা।


আরও পড়ুন: তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করলেন ড. ইউনূস


তিনি বলেন, কার্টারের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তী সময়ে, বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক বহুমুখী প্রেক্ষাপটে সুদৃঢ় ও প্রসারিত হয়েছিল। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য এক মহান অনুপ্রেরণার উৎস।


চিঠিতে তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার একজন প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে আমার বিশেষ সম্মান অর্জন হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার আমাকে সবসময় উৎসাহিত করেছে। তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের কথোপকথনের মূলে ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে তাতে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই।


আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ


ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি এবং বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।


স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) মারা যান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ার প্লেইন্সে তার বাড়িতে ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। সেখানে তিনি তার স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর মারা যান সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিনও।


এমএল/