বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার অনশন
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১২ অপরাহ্ন, ২০শে জানুয়ারী ২০২৫
প্রথমে প্রেম পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা ১৬বছরের কিশোরী,বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অনশন। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি ভুক্তভোগীর।
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়ার ১০নং জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্ৰামে। প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল উদ্দিন (২৫) নামের এক যুবকের টানা শারীরিক সম্পর্কের কারণে কিশোরী দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরী নিজেই ।
আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবিতে হাতিয়া নিঝুমদ্বীপে মানববন্ধন
প্রতারক প্রেমীক সোহেল উদ্দিন (২৫) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালারাগো বাড়ির প্রবাসী নবীর উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী অন্তঃসত্বা কিশোরী সীমা আক্তার পারু (১৬)একই গ্ৰামের বাসিন্দা শামছুদ্দিনের মেয়ে। গত দুইদিন ধরে প্রতারক প্রেমিকের বাড়িতে ঐ কিশোরী বিয়ের দাবিতে অবস্থান করলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আর এ ঘটনা শুনে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঐ বাড়িতে জড়ো হয়। সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগী কিশোরীকে ঐ বাড়িতে অবস্থান করতে দেখা যায়, কথা হয় কিশোরী ও এলাকাবাসীর সাথে, ভুক্তভোগী সীমা আক্তার পারু জানান, মাদ্রাসায় আসা- যাওয়ার পথে প্রেমিক সোহেলের সাথে পরিচয় এর সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে,এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে আমার সাথে দ্বীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এখন আমি এক দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি তাকে জানালে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে আমাকে আসতে বলে,আমি তার কাছে ছুটে আসি কিন্তু সে পেটের সন্তান নষ্ট করতে মেডিসিন দেয় আমাকে কিন্তু আমি না সেবন করায় সে আমাকে মারধর করে, এক পর্যায়ে বিয়ে করবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দেয়, এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে আমি আত্মহত্যা করবো। আমি বর্তমানে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে অবস্থান করছি, কিন্তু সে এবং তার পরিবারের সদস্যরা আমার উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জোয়ারে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার ইউপি সদস্য মো. আশ্রাফ উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান করছি। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
এদিকে উপজেলার জাহাজমারা ফাঁড়ি থানা ইনচার্জ মো. শামছল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং থানার একটি টিম ঐএলাকায় গেছে, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এসডি/