ভেড়ামারায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু!
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশ নিজ ঘরে থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। নিজ ঘরের বিছানায় লেপের নীচে মাথা ঢাকা অবস্থায় ছিল স্ত্রী রাবেয়া খাতুন’র মৃতদেহ (৬৫)। আর পাশেই ঘরের ডাবের সাথে ঝুলছিল স্বামী ফরিদ উদ্দীনের লাশ (৭৫)। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গোরস্থান পাড়া সংলগ্ন বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীনের মূল বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। সেখানে প্রথম স্ত্রী, ছেলে মেয়ে রয়েছে। ভেড়ামারায় দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। তারা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করতেন। বাড়ির পাশেই বসবাস করেন স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের প্রথম পক্ষের ছেলেরা। বুধবার সকালে নিহতের নাতি দাদা-দাদীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। এসময় কেউ কোন আওয়াজ বা সাড়া শব্দ না করলে বাড়ির অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয়। এসময় ঘরের ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত একটি মৃতদেহ দেখা যায়। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পুত্রবধু জানিয়েছে, তাদের শ্বশুর- শাশুড়ী আলাদা ভাবেই বসবাস করতেন। উল্লেখ করার মতো কোন পারিবারিক কোলহ তাদের ছিল না। তবে কি কারনে, কারা হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারেন বা কেন তারা আত্মহত্যায় করতে যাবেন, তার কোন কারন খুজে পাচ্ছেন না।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, টিনের ঘরটি ভিতর থেকেই লক করা ছিল। বিছনায় লেপ দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় নিহত রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মৃত ফরিদ উদ্দীনের লাশ। হত্যার প্রকৃত কারন অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে বলা যেতে পারে, স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। দুটো লাশই ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
আরএক্স/