তরুনেরা জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে আবরার ফাহাদের থেকে : আসিফ মাহমুদ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, ৬ই মার্চ ২০২৫

মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় : আবরার ফাহাদ আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের একটি জার্নি মন্তব্য করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন,আগ্রাসন বিরোধী দীর্ঘ লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ একটি নতুন ধাপ সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। আমরা সেই লড়াইটাকে তাকে সামনে রেখে চালু রাখতে চেয়েছি। আবরার ফাহাদ শুধু একটা নাম না। আগ্রাসন বিরোধী লড়াইয়ের একটি জার্নি। সেই জার্নির একটা অন্যতম অর্জন হচ্ছে জুলাই গণ অভ্যুত্থান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে এদেশের তরুনেরা জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে আবরার ফাহাদের থেকে। আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য এদেশের তরুনেরা ঝাপিয়ে পড়েছে রাজপথে। অবশেষে আমরা আগ্রাসী পরাশক্তির বাংলাদেশীয় সবচেয়ে বড় খুঁটি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছি।
আসিফ মাহমুদ বলেন,ফ্যাসিবাদী সরকার আবরার ফাহাদের স্মৃতি মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা কোন সংবাদ করতে দিত না,কর্মসূচী পালন করতে দিতো না। কর্মসূচী পালন করতে গেলে সেখানে হামলা হতো। জেল,জুলুমের শিকার হতে হতো। তিনি বলেন, যারা আত্মত্যাগ করে তাদের নাম মুছে ফেলা যায়না। এটি আবারও প্রমাণিত হলো। ২৪’এর গণ অভ্যুত্থানের পর এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে। আগ্রাসন বিরোধী প্রতিটি লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকেন শহীদ আবারার ফাহাদ।
উপদেষ্টা আরো বলেন,ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। নানা ছোটখাটো ইস্যুতে জনগণকে বিভক্ত করার,একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে পরাজিত শক্তি। নানা ধরনের উগ্রবাদীদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ ধরনের যেকোন প্রচেষ্টাকে অন্তবর্তীকালীন সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো.তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী,যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম ও জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো.বরকত উল্লাহ।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা শহীদ আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান। সেখানে তিনি সকাল ১১টা ৫ মিনিটে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। পরে আবরারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আবরার ফাহাদ জামে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদন্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত।
আরএক্স/