জিয়াউর রহমানের ঘোষণায়ই জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল : নীরব
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৬শে মার্চ ২০২৫

জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বলে মন্তব্য করেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব। তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা জিয়াউর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এমনকি বাচ্চাদের পাঠ্যবই থেকেও মুছে ফেলেছিল। জিয়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছে। তাকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবেনা।
বুধবার (২৬ মার্চ) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেন, ৭মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যদি তাই হয় তাহলে তো তখন থেকেই যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু তা হয়নি। বরং ৭ মার্চের পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্গালির ওপরে ঝাপিয়ে পড়ল তখনও ৫ আগষ্টের মতো আওয়ামীলীগ পালিয়েছিল। তখন বাঙ্গালী যখন যা পাড়ছে তাই নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তখন একটা কথা ভেঁসে আসলো, আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। তখন মানুষ বুঝলো আমরা একা না, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সাথে আছে। সে সময়ে জিয়াউর রহমান ক্যাম্পে বসে যুদ্ধের পরিকল্পনাও করতেন, যুদ্ধেও যেতেন। তখন থেকেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের আস্থার নাম হয়ে ওঠে।
নীরব বলেন, জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
দেশে যতবার সংকটে পড়েছে তখনই জিয়া পরিবার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে সিভিল ও মিলিটারি উভয় সেক্টরে দেশ যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল তখনো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শহীদ জিয়া দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৩ বারের শাসনামলে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আপোষহীন।
বিএনপির এই নেতা জানান, ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর এই জাতির ওপরে নির্যাতন চালিয়েছে। তারা হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই অবস্থান থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে অতি দ্রুত নির্বাচন দেবে।
একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পর এখন অনেকেই দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে অরাজকতা করছে। এতে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যেতে পারে। যা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাম্য হতে পারে না।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন মহা-সংস্কারক, তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে দিয়েছিলেন, গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তুলেছিলেন, মিশ্র অর্থনীতি, শিক্ষা, টেলিভিশনে নতুনকুড়ি অনুষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রেই যুগোপযোগী সংস্কার করেছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। সেই আলোকেই আগামী দিনে সব সংস্কার করা হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না জানিয়ে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থেই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কথা বলছে।
এসময় তিনি বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএক্স/