ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি: ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াইয়ের ঘোষণা চীনের

চীনের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ শুল্ক
বিজ্ঞাপন
চীন পালটা শুল্ক প্রত্যাহার না করলে, তাদের পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘ব্ল্যাকমেইলিং আচরণ’ তারা কখনোই মেনে নেবে না।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে— এমন সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। চীনের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ শুল্ক।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর রবিবার (০৬ এপ্রিল) মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক বসায় চীন। সোমাবার (০৭ এপ্রিল) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, যদি চীন অবিলম্বে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে।
ট্রাম্পের এ হুমকির প্রতিক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে ‘অর্থনৈতিক উৎপীড়ন’ উল্লেখ করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি এই ভুলপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অনড় থাকে, তাহলে চীনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”
বিজ্ঞাপন
বস্তুত, বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ শুরু হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে তার প্রভাব।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (০২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, মৌলিক বা বেসলাইন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের ওপর, বাকি দেশগুলোর ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর— ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ধার্য করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ শুল্ক।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (০৫ এপ্রিল) থেকে বেসলাইন শুল্ক সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যেসব দেশের ওপর ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, তা সংগ্রহ শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে। সূত্র: আরটি
বিজ্ঞাপন
এমএল/








