কয়রায় কাঁকড়া চাষ করে সফলতার মুখ দেখছে চাষিরা

দীর্ঘ ৫ বছর কাঁকড়া চাষ করছি কাঁকড়া চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি
বিজ্ঞাপন
খুলনার কয়রা উপজেলায় কাঁকড়া চাষ করে সফলতা মুখ দেখছে দরিদ্র চাষিরা।
বুধবার (১৬এপ্রিল) উপজেলার কাঁকড়া চাষি দেবদাস ঘোরামী বলেন,আমি দীর্ঘ ৫ বছর কাঁকড়া চাষ করছি কাঁকড়া চাষ করে লাভের মুখ দেখেছি। আমি প্রথম যখন কাঁকড়া চাষ শুরু করি তখন মাত্র ১ বিঘা জমি নিয়ে ৫ হাজার টাকা খরচ করে নেট,পাটা বসিয়ে সুন্দরবন থেকে ধরে আনা ছোটো, নরম কাঁকড়া কম দামে ক্রয় করে এনে আমার হ্যাচারিতে কাঁকড়া গুলো ছেড়ে দেয় মাঝে মধ্যে কিছু খাবার দিয়ে থাকি ২ সপ্তাহ পর আবার হ্যাচারি থেকে কাঁকড়া গুলো ধরে বিক্রি করি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আমি কাঁকড়া গুলো কিনেছিলাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে তা আমি বিক্রি করেছি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দামে। প্রথমে হ্যাচারিতে কাঁকড়া চাষ শুরু করি ১ বিঘা জমিতে এখন আমি ৭ বিঘা জমিতে কাঁকড়া চাষ করে থাকি। এথেকে যা ইনকাম হয় আমার সংসারের খরচ চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা জমিয়েছি।
কাকড়া চাষি রবি মন্ডল বলেন, আমি ৩ বছর ধরে কাঁকড়া চাষ করছি ও ব্যবসা করে আসছি। কাঁকড়া চাষে কোনো ভাইরাস লাগেনা সময় মতো খাবার দিলে ২ সপ্তাহের মধ্যে কাঁকড়া গ্রেট হয়ে আসে তখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি করি। প্রথমে ৪ হাজার টাকা খরচ করে ১০ শতক জমিতে কাঁকড়া চাষ করি শুরুতেই অনেক লাভবান হয়। সেই থেকে সব কিছু বাদ দিয়ে আমি কাঁকড়া চাষ করছি এখন এসে ৩ বিঘা জমিতে নতুন করে হ্যাচারি তৈরী করে সেখানে ৪০ থেকে ৫০ কেজি কাঁকড়া ক্রয় করে হ্যাচারিতে ছেড়ে দিয়েছি আশা করি এবারও অনেক টাকায় বিক্রিয়ে করতে পারবো।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কয়রায় বিএনপির অবস্থান কর্মসুচী পালন
বিজ্ঞাপন
আরেক কাঁকড়া চাষি হরিদাস মন্ডল বলেন, আমি ২ বছর যাবত অন্যের কাঁকড়া চাষ করা দেখে আমিও হ্যাচারি তৈরী করি। ৬ হাজার টাকা খরচ করে আমি হ্যাচারি তৈরী করি সেখানে ৪০ কেজি কাঁকড়া সুন্দরবনের জেলেদের কাছ থেকে ক্রয় করে এনে আমি হ্যাচারিতে ছাড়ি তাথেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছি। আশা করি আগামীতে আরও বেশি করে কাঁকড়া চাষ করবো। খোজ নিয়ে জানা গেছে সুন্দরবন উপকূল কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশির জোড়শিং আংটিহারা, গোলখালি সহ অনেক এলাকায় এখন কাঁকড়া চাষ হচ্ছে।
এসডি/
বিজ্ঞাপন








