ল্যাথাম-কনওয়ে দাপটে অসহায় বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্রিয়া ডেস্ক: মাউন্ট মঙ্গানুইতে পরাজয়েই যেন ফুঁসে উঠল নিউজিল্যান্ড। প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাগলি ওভাল টেস্টের প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছে কিউয়িরা। টস জিতে যেই যাত্রায় একধাপ এগিয়েও ছিলেন মোমিনুল হক। কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে প্রথম দিনটা হতে পারতো বাংলাদেশের। কিন্তু, সে চেষ্টায় ব্যর্থ তাসকিন-ইবাদতরা। ঘাসের উইকেটে বল হাতে কেউই দেখাতে পারলেন না চমক। উল্টো প্রথম দিনের পুরোটা সময়ই বাংলাদেশকে শাসন করেছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। সঙ্গে দারুণ করেছেন উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। তিন ব্যাটারের দৃঢ়তায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনে দুর্দশা দেখল বাংলাদেশ। পুরো দিনটাই যে জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। কেননা, কিউয়ি ব্যাটিং দাপটের দিনে মাত্র একটি উইকেটই তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনে ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। এই তিন টপ অর্ডারের ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিংয়ে দিন শেষে সাড়ে তিনশ ছোঁয়া রান তুলে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়া অধিনায়ক ল্যাথাম এদিন প্রথম উইকেটে ইয়াংয়ের সঙ্গে ১৪৮ রানের অনবদ্য জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে কনওয়েকে নিয়ে গড়েন ২০১ রানের রেকর্ড গড়া জুটি। একইসঙ্গে নিজেও সংগ্রহ করেছেন দেশের হয়ে একদিনে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১৮৬ রান।
তাঁর আগে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনে (টেস্টের তৃতীয় দিন) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৯ রান তোলেন অভিজ্ঞ রস টেইলর। এর এক বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯৫ রান তুলেছিলেন সাবেক অধিনায়ক ব্রান্ডন ম্যাককলাম। আর ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ দিনে সর্বোচ্চ ২২২ রান তুলে তালিকার এক নম্বরে বসে আছেন সাবেক ব্যাটার ন্যাথান অ্যাস্টলে।
যাইহোক, ল্যাথাম এদিন ওই রান করেন ২৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে, ২৭৮টি বল মোকাবেল করে। অন্যদিকে, শেষ চার ম্যাচে চতুর্থ ফিফটি হাঁকানো ইয়াং ৫৪ করে আউট হলেও ক্রিজে এসে দুর্দান্ত সব শটে পঞ্চম টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয় শতকের দ্বার প্রান্তে ডেভন কনওয়ে। এই বাঁহাতি ব্যাটার ১৪৮ বল খেলে ১০টি চার ও একটি ছয়ে অপরাজিত আছেন ঠিক ৯৯ রানে।
এদিন প্রথম বল থেকেই চালিয়ে খেলে চালকের আসনে বসা কিউয়িদের বিপক্ষে ক্লান্তিহীনভাবে বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাননি বাংলাদেশের বোলাররা। কনওয়ে যখন ফিফটি হাঁকান তখন ব্যক্তিগত স্কোর দেড়শ পার করেন ল্যাথাম। হ্যাগলি ওভালে যেখানে বোলারদের রাজত্ব করার কথা ছিল সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেন ল্যাথাম ও কনওয়ে।
৮৯তম ওভারে ২০০ রান পূর্ণ হয় ল্যাথাম-কনওয়ে জুটির। সেই সঙ্গে প্রথম দিনেই বড় স্কোরের দেখা পায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের শেষ সেশনে ৩৬ ওভারে চারেরও বেশি রান রেটে ১৪৭ রান তোলেন ল্যাথাম ও কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত ৩৪৯ রানেই দিন শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের।
আগের টেস্টে ৭ উইকেট নেয়া এবাদত এদিন ২১ ওভার হাতঘুরিয়েও দেখা পাননি শিকারের, দিয়েছেন ১১৪টি রান। তাসকিন ২২ ওভারে ৬৮ দিয়েও পাননি কোনও সাফল্য। প্রথম দিনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য বলতে শরিফুলের উইকেটটিই। ১৮ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে ওই ইয়াংকেই তুলে নিতে পারেন বাঁহাতি এই তরুণ পেসার।
এসএ/