ভারতের হুমকির প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ কর্মসূচি


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:০৫ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৫


ভারতের হুমকির প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ কর্মসূচি
ছবি: সংগৃহীত

ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুক হামলার ঘটনার পর ভারতের হুমকির প্রতিবাদে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে)-সহ পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।  


বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর জিও নিউজের।


এর আগে,  (২২ এপ্রিল) ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৬ পর্যটক হারান। 


পরে এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে’ মদদ দেওয়ারও অভিযোগ আনেন তিনি।


আরও পড়ুন: কাশ্মীর হামলাস্থলে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন


এ ছাড়া ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি। পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।


এ অবস্থায় স্থানীয় একটি দলের ডাকা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আজমল বালুচ নামের একজন ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, ভারত যদি যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে প্রকাশ্যে এগিয়ে আসুক। 


এ সময় আজমল এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলসহ ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ বিভিন্ন হুমকির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


২৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ ওয়াইস বলেন, পানি আমাদের অধিকার এবং আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা এটি পুনরুদ্ধার করব। এমনকি যদি এর জন্য যুদ্ধের মাধ্যমেও কিছু করতে হয়, আমরা পিছু হটব না।


আরও পড়ুন: এবার ভারতে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি পাকিস্তানের


ভারতবিরোধী স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মুজাফ্ফরাবাদের মূল শহরেও মিছিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায়ও বিক্ষোভ হয়েছে। 


পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনিয়র নেতা জাভেদ মীর বলেছেন, ভারত যদি আক্রমণ করার মতো ভুল করে, তাহলে পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা সামনের সারিতে লড়াই করবে। 


তিনি আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানের জন্য মরতে প্রস্তুত। 


প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আঞ্চলিক রাজনীতি।


আরও পড়ুন: হঠাৎ মোদিকে নেতানিয়াহুয়ার ফোন, যে বিষয়ে কথা হলো 


এরই মধ্যে ভারত সরকার এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই দাবি তীব্রভাবে অস্বীকার করে একে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 


এদিকে হামলার পরদিন বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে পাকিস্তানও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত ও ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ উল্লেখযোগ্য। 


পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে বর্তমানে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।


এমএল/