অস্ট্রেলিয়ার বন্দুকধারীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া হিরো কে এই আহমেদ

অস্ট্রেলিয়ার বোন্ডি সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় যখন চারদিকে আতঙ্ক ও মৃত্যু, ঠিক তখনই অসীম সাহসিকতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন আহমেদ আল-আহমেদ। ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় বন্দুকধারীর অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই সিরীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামলার সময় জীবনবাজি রেখে বন্দুকধারীর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন আহমেদ। তার সাহসী পদক্ষেপের ফলে আরও বড় প্রাণহানি থেকে রক্ষা পায় বহু মানুষ।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদের জন্ম সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের আল-নায়রব এলাকায়। ২০০৬ সালে সিরিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। বর্তমানে তিনি সিডনিতে একটি ফলের দোকান পরিচালনা করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর আর কখনো নিজ দেশে ফিরে যাননি আহমেদ। তার বাবা-মা কয়েক মাস আগে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর এই প্রথম তারা ছেলেকে সামনে থেকে দেখতে পান।
বিজ্ঞাপন
দুই কন্যাসন্তানের জনক আহমেদের বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর এবং ছোটটির বয়স তিন বছর।
হামলার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে আহমেদের কাঁধে চার থেকে পাঁচটি গুলি লাগে বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এখনো কয়েকটি গুলি তার শরীরেই রয়ে গেছে।
মুসলিম হয়েও ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষায় নিজের জীবন বিপন্ন করে দেওয়া আহমেদ এখন অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
আহমেদের বাবা-মা বলেন, আহমেদ যেকোনো মানুষকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। কার ধর্ম কী, পরিচয় কী—এসব সে কখনো দেখত না। ওই মুহূর্তে যা করা দরকার ছিল, সেটাই করেছে। মানুষ মরছে—এর বাইরে আর কিছু সে ভাবেনি।
মানবতা, সাহস ও সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন আহমেদ আল-আহমেদ—যিনি প্রমাণ করেছেন, বিপদের মুখে মানুষের পরিচয় নয়, মানবিকতাই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
সূত্র: আলজাজিরা








